যশোরে বিএনপি কর্মী গুমের অভিযোগে ডিআইজি আনিসসহ ৭ পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে মামলা
যশোরে বিএনপিকর্মী মাসুমকে গুমের অভিযোগে যশোরের সাবেক পুলিশ সুপার আনিসুর রহমানসহ সাত পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা হয়েছে।

মঙ্গলবার দুপুরে যশোরে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলাটি করেন গুমের শিকার বিএনপি কর্মী মাসুমের মামা কুদ্দুস আলী। বাদী পক্ষের আইনজীবী রুহিন বালুজ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
বিএনপিকর্মী মাসুম যশোর সদর উপজেলার নওয়াপাড়া গ্রামের মতিউর রহমানের ছেলে। অভিযুক্ত আনিসুর রহমান বর্তমানে ডিআইজি পদমর্যাদায় নৌপুলিশে সংযুক্ত আছেন।
মামলার অন্য আসামিরা হলেন— যশোর কোতোয়ালি থানার তৎকালীন ওসি শিকদার আক্কাস আলী, এসআই আবু আনসার, কনস্টেবল হাফিজ, কনস্টেবল অভিজিৎ, কনস্টেবল সাঈদ ও কনস্টেবল হাসনাত।
বিচারক গোলাম কিবরিয়া অভিযোগটি এজাহার হিসেবে গ্রহণের জন্য যশোর কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) নির্দেশ দিয়েছেন।
মামলার বিবরণে বলা হয়েছে, মাসুম বিএনপির সক্রিয় কর্মী ছিলেন। ২০১৫ সালের ৩ আগস্ট বিএনপির কর্মসূচিতে অংশ নিয়ে বাড়ি ফেরার পর রাত ১১টার দিকে কোতোয়ালি থানার এসআই আবু আনসারসহ পুলিশের একটি দল মাসুমকে পুলিশের গাড়িতে উঠিয়ে নিয়ে যায়। এসময় মাসুমের মামা মাসুমকে আটকের কারণ জিজ্ঞেস করলে পুলিশ সদস্যরা বলেন, ‘ও বড় নেতা হয়ে গেছে, ওকে মেরে ফেলা হবে’।
পরদিন থানায় গিয়ে তারা মাসুমকে থানা হাজতে দেখতে পান। কিন্তু এরপর পুলিশ তাকে আদালতে সোপর্দ করেনি। আজ পর্যন্ত মাসুমের কোনো খবর তারা পাননি। মাসুমের স্বজনদের ধারণা, তৎকালীন পুলিশ সুপার আনিসুর রহমান ও কোতোয়ালি থানার ওসি শিকদার আক্কাস আলীর নির্দেশে মাসুমকে গুম করা হয়েছে। ওই সময় এ ব্যাপারে তারা থানায় অভিযোগ দিলেও পুলিশ মামলা নেয়নি। বর্তমানে পরিস্থিতি অনুকুলে আসায় ন্যায়বিচার পেতে তারা আদালতের স্মরণাপন্ন হয়েছেন।