Search

প্রধানমন্ত্রীর জন্মদিনের অনুষ্ঠানে আ.লীগের দুপক্ষের সংঘর্ষ

মুন্সীগঞ্জে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৭৭তম জন্মদিন অনুষ্ঠানকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষে উভয়পক্ষের অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন। শুক্রবার (২৯ সেপ্টেম্বর) বিকাল ৫টার দিকে শহরের পুরাতন বাসস্ট্যান্ড এলাকায় এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।


প্রধানমন্ত্রীর জন্মদিনের অনুষ্ঠানে আ.লীগের দুপক্ষের সংঘর্ষ

আহতরা হলেন মেয়র অনুসারী গজারিয়ার বাসিন্দা সুমন, ফয়সাল, সোহাগ আবু কালাম, জামাল ও সালাউদ্দিন। এ ছাড়াও সংসদ সদস্যের অনুসারী পৌর কাউন্সিলর মো. মুকবুল হোসেনের বড় ভাই মনির হোসেন (৪৫)। আহতদের মুন্সীগঞ্জ ও নারায়ণগঞ্জসহ বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৭৭তম জন্মদিন উপলক্ষে মুন্সীগঞ্জ পৌর মেয়র আয়োজিত দোয়া ও কেক কাটা অনুষ্ঠানে গজারিয়া থেকে আগত কর্মীদের সাথে পুরাতন বাসস্ট্যান্ড এলাকায় সংসদ সদস্যের অনুসারীদের সাথে কথাকাটাকাটি হয়। কথাকাটাকাটির একপর্যায়ে উভয়পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বেধে যায়। এতে উভয়পক্ষের অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন।

তবে মেয়র অনুসারীদের অভিযোগ- জন্মদিনের অনুষ্ঠানে আগতদের বাধা দিয়ে হামলা ও মারধর করে সংসদ সদস্যর অনুসারীরা। তবে অভিযোগ অস্বীকার করে পাল্টা অভিযোগ করেন সংসদ সদস্যর অনুসারীরা।

এ ঘটনায় এখনো কোনো পক্ষ থানায় অভিযোগ দায়ের করেনি বলে জানিয়েছেন সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. আমিনুল ইসলাম। তিনি জানান, কী কারণে এমন ঘটনা ঘটেছে বিষয়টি নিয়ে তদন্ত চলছে। তবে ঘটনার সাথে যেই জড়িত থাকুক না কেন, কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না।

এদিকে, সংঘর্ষের আগে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৭৭তম জন্মদিন উপলক্ষে দোয়া ও কেক কাটা অনুষ্ঠানে মুন্সীগঞ্জ-৩ আসনের সংসদ সদস্য ও কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগ মুক্তিযোদ্ধাবিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট মৃণাল কান্তি দাসকে সন্ত্রাসী আখ্যায়িত করে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করেন মুন্সীগঞ্জ পৌর মেয়র মুহাম্মদ ফয়সাল বিপ্লব ও তার অনুসারীরা।