Search

‘এমপির বাধায়’ উদ্ধার করা গেল না দখল হওয়া রেলের জমি

লালমনিহাটের হাতীবান্ধায় রেলওয়ের জমিতে গড়ে ওঠা অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযান বন্ধ করে দিয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে সংসদ সদস্য মোতাহার হোসেনের বিরুদ্ধে।


‘এমপির বাধায়’ উদ্ধার করা গেল না দখল হওয়া রেলের জমি

বৃহস্পতিবার (২৩ মে) দুপুরে লালমনিরহাট রেলওয়ে বিভাগীয় এসিস্ট্যান্ট স্টাফ অফিসার আব্দুর রাজ্জাকের নেতৃত্বে উপজেলার বড়খাতা রেলস্টেশনের পাশে রেলওয়ে পুকুরের উপরে গড়ে ওটা অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করা হয়।

লালমনিরহাট রেলওয়ে সূত্রে জানা যায়, হাতীবান্ধা উপজেলার বড়খাতা রেলস্টেশনের পাশে রেলওয়ে পুকুরের উপরে স্থানীয় ব্যক্তিরা রেলওয়ে কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়াই অবৈধভাবে স্থাপনা নির্মাণ করছিল। সেখানে মোখিকভাবে তাদের সতর্ক করা হলেও অবৈধ দখলদাররা নির্মাণকাজ চালিয়ে যেতে থাকে। পরে উচ্ছেদ অভিযান শুরু করে রেলওয়ে বিভাগ। কিন্তু বৃহস্পতিবার দুপুরে অভিযান চলাকালে হঠাৎ লালমনিরহাট-১ আসনের (হাতিবান্ধা ও পাটগ্রাম) সংসদ সদস্য মোতাহার হোসেনের লোকজন এসে উচ্ছেদ অভিযান বন্ধ করে দেয়।

এ বিষয়ে লালমনিরহাট রেলওয়ের এসিস্ট্যান্ট স্টাফ অফিসার আব্দুর রাজ্জাক বলেন, ওই বড়খাতা রেলওয়ে পুকুরের উপরে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযান স্থানীয় সংসদ সদস্য মোতাহার হোসেনের নির্দেশে বন্ধ করা হয়। তবে সংসদ সদস্য আশ্বাস দিয়েছেন সেখানে অবৈধ স্থাপনা থাকবে না বলে জানান তিনি।

এ ব্যাপারে এমপি মোতাহার হোসেনের মুঠোফোনে একাধিকবার কল দিলেও সেটি রিসিভ হয়নি।

উল্লেখ্য, বড়খাতা রেলস্টেশনের পশ্চিম দিকের পুকুরটি লিজ নেয় ওই এলাকার সাবেক রেলকর্মচারী বুলু মাস্টার। পুকুরটি ৪০ বছর ধরে তিনি দখলে রেখেছেন। কিন্তু কয়েক বছর হয় পুকুরটির উপরে জোর করে অবৈধ স্থাপনা তৈরি করেছে প্রভাবশালীরা।