আহতরা হলেন- উপজেলা যুবলীগের প্রচার সম্পাদক আবুল খায়ের, বড়করই ইউনিয়ন যুবলীগের সহ-সভাপতি মহিউদ্দিন ও গাড়িচালক মো. ইউসুফ ও জহির মুন্সি। তারা সবাই কুমিল্লা-৭ (চান্দিনা) আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মুনতাকিম আশরাফ টিটুর অনুসারী।

আহতদের উদ্ধার করে প্রথমে চান্দিনা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও পরে কুমিল্লা নগরীর একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

ঈগল প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী টিটুর অভিযোগ, তার কর্মী-সমর্থকদের ওপর নৌকার কর্মীরা দফায় দফায় সশস্ত্র হামলা করছে। এতে সুষ্ঠু নির্বাচন অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে।

তিনি বলেন, যুবলীগের আহ্বায়ক জহিরুল ইসলাম মুন্সী কয়েকজন সহযোগী নিয়ে নবাবপুর ইউনিয়নে ঈগল প্রতীকের পোস্টার বিতরণ করেন। ফেরার পথে ১৫-২০টি মোটরসাইকেল ও একটি মাইক্রোবাসে আসা নৌকার লোকজন তাদের প্রাইভেটকারটি ধাওয়া করে। এ সময় উপজেলার গজারিয়া এলাকায় পৌঁছালে প্রথমে গাড়িটি ভাঙচুর করা হয়। পরে তাদেরকে গাড়ি থেকে নামিয়ে কুপিয়ে ও পিটিয়ে রক্তাক্ত জখম করা হয়।

এ বিষয়ে কুমিল্লা-৭ আসনে নৌকার প্রার্থী ডা. প্রাণ গোপাল দত্ত বলেন, রোববার উপজেলার সুহিলপুরে আমার ২টি নির্বাচনী অফিস পুড়িয়ে দেয়া হয়েছে এবং ৩ জন কর্মীকে পিটিয়ে আহত করা হয়েছে। আহতরা চান্দিনা হাসপাতালে ভর্তি আছে।

উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান জহিরুল ইসলাম মুন্সীসহ ৪ জনকে কুপিয়ে জখম করার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, কারো ওপর হামলা কিংবা আহতের বিষয়টি আমার জানা নেই।

চান্দিনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আহাম্মদ সনজুর মোরশেদ বলেন, এ বিষয়ে কেউ অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে।#