সৌন্দর্য মেলে ধরেছে বসন্তের রূপকন্যা শিমুল
ঋতুরাজ বসন্তে আবহমান গ্রামবাংলার প্রকৃতি রাঙিয়ে উঠে নয়নাভিরাম শিমুল ফুল। কালের বিবর্তনে মুন্সীগঞ্জের গজারিয়ায় ফাগুনে চোখ ধাঁধানো গাঢ় লাল রঙের অপরূপ সাজে সজ্জিত শিমুল গাছ এখন বিলুপ্তপ্রায়। এক যুগ আগেও উপজেলার বিভিন্ন গ্রামের অধিকাংশ বাড়ির আনাচে-কানাচে, রাস্তায় ও পরিত্যক্ত বাড়িতে প্রচুর শিমুল গাছ দেখা যেত। গাছে গাছে প্রস্ফুটিত শিমুল ফুলই স্মরণ করিয়ে দিত, বসন্ত এসে গেছে। তবে ফাগুনের শেষের দিকে গজারিয়া উপজেলার টেংগারচর গ্রামের কয়েকটি বাড়ির আঙিনায় কিছু শিমুল গাছে রক্ত লাল শিমুল ফুল ফুটেছে।

জমির মালিক এই শিমুল গাছ রাখতে চায় না। তা ছাড়া কয়েক বছর আগে শিমুল গাছ থেকে তুলা আহরণ করার জন্য শ্রমিক পাওয়া যেতো যেহেতু শিমুল গাছ কাটা যুক্ত এখন আর শিমুল গাছ থেকে তুলা আহরণ করার বিশেষ এই শ্রমিক একেবারেই পাওয়া যায় না। আর এতে শিমুল ফলটি আহরণ করা যায় না। এ কারণে ফলটি পেকে ফেটে যায় পরে বাতাসে বাড়ির চারপাশ এবং জমির আশপাশে তুলা ছড়িয়ে পরে এতে কৃষক বিরক্ত হয়ে যায় এ কারণে হয়তো শিমুলগাছ কেটে ফেলচ্ছে।
শিমুল গাছ এভাবে হ্রাস পাওয়ায় ভবিষ্যতে প্রকৃতির উপর কোনো প্রভাব পড়বে কিনা এই প্রতিবেদকের এমন প্রশ্নে তিনি আরও বলেন, প্রকৃতির নিয়মই এটা আস্তে আস্তে নতুন অনেক প্রজাতির গাছ আসবে পুরাতন অনেক প্রজাতি হারিয়ে যাবে। আমরা জানি যে ডারুইনের যে তত্ত্ব এভালেশন থিওরি সেটি থেকে বুঝা যায়, পৃথিবী থেকে এমন অনেক প্রজাতির গাছ হারিয়ে গেছে নতুন অনেক প্রজাতি সৃষ্টি হবে। তবে সরকার যদি চায় এই গাছটি সংরক্ষণ করবে তাহলে আমাদের অনেক বোটানিক্যাল গার্ডেন, সংরক্ষিত বন, সংরক্ষিত এলাকা এবং বিভিন্ন সময় আমরা সরকারিভাবে রাস্তার পাশে গাছ রোপণ করে থাকি, তখন শিমুল গাছ লাগিয়ে এই গাছটি সংরক্ষণ করে রাখতে পারি।