সেতু নয়, যেন `মারণফাঁদ'
সেতুটির ছয়টি পিলার দেবে গেছে। এ ছাড়া ফাটল ধরেছে বিভিন্ন অংশে। ফলে চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। বিকল্প উপায় না থাকায় এই ঝুঁকিপূর্ণ সেতু দিয়েই যাতায়াত করতে হচ্ছে ১০ গ্রামের অন্তত ২৫ হাজার মানুষকে।

শেরপুরের শ্রীবরদীর খড়িয়া কাজিরচর ইউনিয়নের খড়িয়া গ্রামের মৃগী নদীর ওপর সেতুটির এমন বেহাল দীর্ঘদিন ধরে হলেও দেখার যেন কেউ নেই। স্থানীয় বাসিন্দারা সেতুটি নতুন করে নির্মাণে জন্য বারবার দাবি জানালেও আশ্বাসেই সময় পার করেছেন জনপ্রতিনিধিরা।
জানা গেছে, প্রায় ১০ বছর আগে মাটি সরে গিয়ে সেতুর দুটি পিলার দেবে যায়। পরে আরো চারটি পিলার দেবে গিয়ে চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়ে।
এতে শেরপুর সদর ও শ্রীবরদী উপজেলার হেরুয়া, বালুরঘাট, কাজিরচর, খড়িয়াপাড়া, লঙ্গরপাড়া, ভাটি লঙ্গরপাড়া, নামাপাড়া, আইলারপাড়া, পশ্চিম জিনিয়া, উলুকান্দা ও বীরবান্দা এলাকার বাসিন্দাদের দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, এই ঝুঁকিপূর্ণ সেতু দিয়েই খড়িয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, খড়িয়া উচ্চ বিদ্যালয়, লঙ্গরপাড়া উচ্চ বিদ্যালয়, লঙ্গরপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়সহ উপজেলা ও জেলা শহরের কলেজসহ বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা চলাচল করছে। সেতুর পশ্চিম অংশের মানুষের প্রায় হাজার হাজার একর জমি নদীর ওপারে। সেই জমিতে উৎপাদিত কৃষিপণ্য বাজারজাত করতে পোহাতে হয় চরম দুর্ভোগ।
বাসিন্দাদের ভাষ্য, খড়িয়া কাজিরচর ইউনিয়নের কয়েক গ্রামের দুর্ভোগ লাঘবে একাধিকবার এলজিইডির উপজেলা প্রকৌশলীকে সরেজমিন পরিদর্শনে করিয়েছেন। তবু সেতুটি পুনরায় নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হয়নি।
খড়িয়া কাজিরচর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. দুলাল মিয়া বলেন, সেতুর ছয়টি পিলার দেবে যাওয়ায় ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করতে হচ্ছে। বিষয়টি উপজেলা প্রকৌশলীকে জানানো হয়েছে। তিনি দ্রুত সেতুটি নির্মাণের আশ্বাস দিয়েছেন।
তাঁর আশ্বাস বাস্তাবায়িত হলে অন্তত ২৫ হাজার মানুষের দুর্ভোগ লাঘব হবে।
শেরপুরের স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী মোহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, সেতুটি পুনরায় নির্মাণের জন্য দরপত্র হয়েছে। দ্রুত সময়ের মধ্যে কাজ শুরু করা হবে।