Search

সাতক্ষীরায় নদীর বেড়িবাঁধ সংস্কারে অনিয়মের অভিযোগ

সাতক্ষীরার আশাশুনির বামনডাঙ্গা টু তুয়ারডাঙ্গা গ্রামে বেড়িবাঁধ সংস্কারে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। কোথাও কোথাও রাস্তার স্লাব না রেখে বাঁধের নিচের মাটি খুঁড়েই বাঁধেই ফেলা হচ্ছে। আবার কোথাও রাস্তার সামনে নদীর বড় চর থাকা সত্ত্বেও জনগোষ্ঠীর বাড়ির মাটির দেয়াল ঘেঁষে মাটি ফেলার অভিযোগ উঠেছে।


সাতক্ষীরায় নদীর বেড়িবাঁধ সংস্কারে অনিয়মের অভিযোগ

বুধবার (২৭ মার্চ) বিকেলে সরেজমিনে দেখা যায়, বড় দল ও খাজরা ইউনিয়নের সীমানা নির্ধারণকারী বামনডাঙ্গা স্লুইসগেট সংলগ্ন পানি উন্নয়ন বোর্ডের খোলপেটুয়া নদীর বেড়িবাঁধ সংস্কারের কাজ চলছে। ঠিকাদার বি এম রাজ্জাক দুটি এস্কেভেটর মেশিন দিয়ে স্লুইসগেট থেকে দক্ষিণ দিকে খাজরা ইউনিয়নের তুয়ারডাঙ্গা গ্রামে চলমান ৩০০ মিটার কাজের প্রায় অর্ধেক শেষ করেছেন।

গ্রামবাসীর অভিযোগ, কান্ট্রি সাইটে মৎস্য ঘেরের ভেতর থেকে ও রিভার সাইটে বেড়িবাঁধের স্লাবের ৩ ফুট দূর থেকে দুটি মেশিনে মাটি খুঁড়ে রাস্তা সংস্কারের কাজ চালানো হচ্ছে।

ঠিকাদারের পক্ষে কাজ তদারককারী আব্দুল খালেক বলেন, চরের মাটি নরম থাকায় গাড়ি বসে যাচ্ছে। এভাবে মাটি কাটা ছাড়া উপায় নেই। স্যার (এস ও সুমন আলী) এসে দেখে গেছেন। কোনো সমস্যা নেই, বাঁধের কিছু হবে না।

পাউবোর দায়িত্বপ্রাপ্ত সুমন আলী বলেন, এখানে ৭০০ মিটার বেড়িবাঁধ সংস্কারের কাজ চলছে। বাঁধের উচ্চতা ৩ ফুট, ১০ ফুট প্রস্থ, রিভার সাইটে স্লাব ১০ ফুট ও কান্ট্রি সাইটে স্লাব ২০ ফুট। কত বরাদ্দ হয়েছে এ বিষয়ে তিনি কোনো মন্তব্য করেন না।

তিনি আরও বলেন, আমি মঙ্গলবার বিকেলে সরেজমিনে গিয়ে দেখেছি। পাশে শক্ত মাটি না থাকায় বাঁধের নিচ থেকে মাটি নিতে দেখেছি। ওদের বলেছি মেশিনে যতদূর থেকে সম্ভব সেখান থেকে মাটি নিতে।

এদিকে বামনডাঙ্গা স্লুইসগেট থেকে উত্তরে নড়েরাবাদ স্লুইসগেট সংলগ্ন পানি উন্নয়ন বোর্ডের বেড়িবাঁধের কাজ প্রায় শেষের দিকে। স্থানীয় লোকজন জানান, বাঁধের দুই ধারে নিয়ম অনুযায়ী স্লাব না করে বাঁধের নিচের দিকে খাড়াখাড়িভাবে মাটি খুঁড়ে ফেলা হয়েছে। বর্ষা মৌসুমের মধ্যেই সব মাটি ধুয়ে আবার যা তাই অবস্থায় চলে যাবে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ব্যক্তি জানান, ঋষি বাড়ির সামনে বাঁধের বাইরে প্রচুর খাসজমি থাকলেও সেদিকে মাটি ফেলে বাঁধ প্রশস্ত না করে ঘরের দেওয়াল ঘেঁষে মাটি ফেলা হয়েছে। বৃষ্টি হলে বাঁধের পানি মাটির ঘরের দেওয়ালে লাগলে ঘর ধসে পড়ার ভয় আছে।

এ ব্যাপারে বড়দল ইউপি চেয়ারম্যান জগদীশ চন্দ্র সানা জানান, আমার ইউনিয়নের বেড়িবাঁধ সংস্কারের কাজ চলছে অথচ আমাকে তারা জানানোর প্রয়োজন মনে করেনি। সামনে চর থাকা সত্ত্বে ও বাঁধের মাটি কেন মানুষের ঘরের দেওয়ালে ফেলতে হবে আমার জানা নেই। দ্রুত সমস্যা সমাধানের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করছি।

সাতক্ষীরা পানি উন্নয়ন বোর্ডের এস ডি ও মেহেদী হাসান শুভ বলেন, আশাশুনিতে অনেক জায়গায় বেড়িবাঁধ সংস্কারের কাজ চলছে। ফাইল দেখে বরাদ্দ কত বলতে পারব। অভিযোগের সত্যতা নিশ্চিত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।#