Search

সরকারি জমি দখল করে চেয়ারম্যানের কোটি টাকা বাণিজ্য

সাতক্ষীরার শ্যামনগরে ৪১ একর জমি দখল করে মার্কেট নির্মাণ করছে চেয়ারম্যান মো. আবু সালেহ বাবু। উপজেলার ১০নং আটুলিয়া ইউনিয়নের নওয়াবেঁকী বাজারের কয়েক কোটি টাকা মূল্যের এ জমি নিয়ে এখন চলছে আলোচনা।


সরকারি জমি দখল করে চেয়ারম্যানের কোটি টাকা বাণিজ্য

ইউনিয়ন পরিষদের প্রবেশপথে বঙ্গবন্ধু চত্বরে স্মৃতিস্তম্ভ ভেঙে জমি দখল করে দোকানপাট নির্মাণ করায় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা ও গ্রামের সাধারণ মানুষ ক্ষোভে ফুঁসে উঠেছে।

স্থানীয়দের অভিযোগ, সরকারি আইন অমান্য করে নওয়াবেঁকী হাটবাজারের পেরিফেরিভুক্ত সরকারি সম্পত্তি যোগসাজশে বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল ভাঙচুর ও জবরদখল করে অবৈধভাবে দোকান নির্মাণের কাজ শুরু করেছেন চেয়ারম্যান। এ বিষয়ে সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক বারবর একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন নওয়াবেঁকী বাজারের ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা।

লিখিত অভিযোগে ব্যবসায়ীরা জানায়, আটুলিয়া ইউনিয়নের নওয়াবেঁকী হাট-বাজারের পেরিফেরিভুক্ত সম্পত্তিতে স্থানীয় ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা দীর্ঘদিন ধরে শান্তিপূর্ণভাবে ব্যবসা পরিচালনা করছিলেন। কিন্তু চেয়ারম্যান ও স্থানীয় ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা মো. মোশারাফ হোসেনের সহযোগিতায় সরকারি আইন অমান্য করে ওই স্থানে মাথাপিছু ১০ লাখ টাকার বিনিময়ে ২৩টি দোকান অবৈধভাবে নির্মাণকাজ শুরু করেন। যার মূল্য ২ কোটি ৩০ লাখ টাকা। ইতিমধ্যে ৫টি দোকান নির্মাণ করে মাসিক ৫ হাজার টাকা হারে ভাড়া তুলেছেন চেয়ারম্যান।

 

ইউনিয়ন যুবলীগের আহ্বায়ক ও ইউপি সদস্য অহিদুল ইসলাম বলেন, আমাদের দলীয় কর্মসূচি করার কোনো জায়গা না থাকায় সদ্য সাবেক সংসদ সদস্য এস এম জগলুল হায়দার এই জায়গায়টির ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করে বঙ্গবন্ধু চত্বর নাম দেয়। তবে বর্তমান ইনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান বঙ্গবন্ধু চত্বরের সেই ম্যুরাল অপসারণ করে সেখানেই নিজস্বভাবে মার্কেট নির্মাণ করেছে। আমরা চাই আমাদের বঙ্গবন্ধু চত্বর থাকুক। তবে সেখানে কেন অবৈধ্য মার্কেট হবে।

চেয়ারম্যানের এমন কর্মকাণ্ডের প্রতিবাদ জানিয়ে ইউপি সদস্য স্বপন কুমার বৈদ্য বলেন, জায়গাটি পেরিফেরিভুক্ত ১নং খাস ক্ষতিয়ানের জমি। তবে চেয়ারম্যান বলছে এটি ইউনিয়ন পরিষদের জমি। জায়গাটি যদি পরিষদের হয়ে থাকে তাহলে তা উন্নয়নের কাজে লাগলে আমাদের কোনো বাধা নেই। তবে এর উন্নয়নের নামে যদি চেয়ারম্যানের পেটে যায় তাহলে সেখানে আমাদের আপত্তি।

 

 

এ বিষয়ে আটুলিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. আবু সালেহ বাবু বলেন, জায়গাটি আমাদের পরিষদের। তাই আমরা কাজ করছি। কোন খাতের টাকা দিয়ে এসব কাজ করছেন এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, আমি ব্যক্তিগত টাকা দিয়ে মার্কেট নির্মাণ করছি। পরে আমি আমার টাকা নিয়ে নেব। তবে নিজের টাকায় কাজ করার আইনগত বিধান আছে কিনা জানতে চাইলে তিনি কোনো উত্তর দিতে পারেনি।

সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হুমায়ুন কবির জানান, সরকারি জায়গায় চেয়ারম্যানের মার্কেট নির্মাণের বিষয়টি ইতিমধ্যে আমাদের নজরে এসছে। শ্যামনগরের ইউএনওকে কাজ বন্ধ করার জন্য নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।#