Search

লুঙ্গি-গেঞ্জি পরে নির্বাচনী প্রচারে সাতক্ষীরার এমপি জগলুল

পায়ে স্যান্ডেল, পরনে লুঙ্গি, গায়ে হাফ হাতা গেঞ্জি- ঠিক এই পোশাকেই স্বাচ্ছন্দ্যে চলাফেরা করেন সাতক্ষীরার সংসদ সদস্য এস এম জগলুল হায়দার। সবকিছুকে পেছনে ফেলে সাধারণ মানুষের সঙ্গে কীভাবে মিশে চলতে হয় সেটি ভালো করে জানেন সাতক্ষীরা-৪ আসনের এ এমপি।


লুঙ্গি-গেঞ্জি পরে নির্বাচনী প্রচারে সাতক্ষীরার এমপি জগলুল

অনেকেই ছবি তোলার জন্য ক্যামেরার সামনে গা ভাসান কিন্তু এমপি জগলুল চলাফেরার স্টাইলটা একেবারে সাদামাটা। অন্যদের থেকে বরাবরই আলাদা তিনি। আসন্ন নির্বাচনকে সামনে রেখে বর্তমানে প্রতিদিন এলাকায় গণসংযোগের পাশাপাশি সরকারের উন্নয়ন সফলতার লিফলেট বিতরণ করছেন তিনি। এবার লুঙ্গি-গেঞ্জি পরে নির্বাচনী প্রচারে অংশ নিতে দেখা গেছে সাতক্ষীরার জনপ্রিয় এ নেতাকে। দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে নিজ নির্বাচনী এলাকা শ্যামনগর এবং কালীগঞ্জের ২০টি ইউনিয়নে গণসংযোগ এবং সরকারের উন্নয়ন সফলতা লিফলেটের মাধ্যমে প্রচার করছেন।

জামায়াত অধ্যুষিত এলাকায় আওয়ামী লীগের শক্ত অবস্থান ও ঘাঁটি তৈরি করতে জগলুল হায়দার এবার কৌশলী পথে হাঁটছেন। সাধারণ জনগণের কাছে আস্থা ও গ্রহণযোগ্যতা তৈরি করতে তৃণমূল আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের সঙ্গে নিয়ে ছুটে চলেছেন নির্বাচনী এলাকায়। নিজেকে জনগণের কাতারে নামিয়ে এনে কখনো কৃষক, কখনো শ্রমিক বেশে, কখনো পরিবারের আপনজন হয়ে ধরা দিয়ে দলীয় নেতাকর্মীদের আস্থার প্রতীক হয়ে উঠেছেন তিনি। বিভিন্ন ইতিবাচক কর্মকাণ্ডের জন্য জনবান্ধব এই সংসদ সদস্য দীর্ঘদিন যাবৎ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ও মিডিয়ায় আলোচিত হয়েছেন।

শ্রমিকের সঙ্গে মিলেমিশে একাকার হয়ে ভূমিহীন মানুষের বাড়িতে ইফতার করা, নিজের জন্য কেনা পাঞ্জাবি খুলে বৃদ্ধ ভ্যানচালককে উপহার দেওয়া- এ ধরনের কর্মকাণ্ড তিনি প্রায়ই করে থাকেন। সমালোচকেরা প্রায়ই বাকা দৃষ্টিতে দেখেছেন এবং নেতিবাচক সমালোচনা করেছেন। কিন্তু তিনি থেমে থাকেননি। সব সমালোচনা উপেক্ষা করে তিনি জনবান্ধব কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে জনগণের আস্থা ও প্রশংসা কুড়িয়ে চলেছেন।

আটুলিয়া ইউনিয়নের যুবলীগ নেতা ওহিদুল ইসলাম জানান, ‘এমপি জগলুল হায়দার মানুষের বিপদে আপদে সব সময় পাশে থাকেন। কোনো ব্যক্তি সমস্যায় পড়ে ফোন দিলে তিনি ফোন রিসিভ করে দ্রুত সমাধানের চেষ্টা করেন। আমরা আটুলিয়াবাসী বর্তমানে এমপি হিসেবে নয় তাকে আমরা পরিবারের আপনজন হিসেবে মনে করি।’

আটুলিয়া ইউনিয়ন পুলিশিং কমিটির আহ্বায়ক রবিউল ইসলাম রবি জানান, ‘আমরা আটুলিয়া ইউনিয়নবাসী এমপি জগলুল হায়দারের জন্য নিরাপত্তায় বসবাস করছি। যে কোনো শ্রেণি-পেশার মানুষ সমস্যায় পড়লে তা সঙ্গে সঙ্গে তিনি সমাধান করেন।’

আটুলিয়া এ কাদের স্কুল অ্যান্ড কলেজের প্রভাষক বিপ্রকাশ মন্ডল জানান, ‘এমপি জগলুল হায়দার শ্যামনগরে শিক্ষা ব্যবস্থার উন্নয়নে দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন। এই প্রত্যন্ত অঞ্চলে ৪টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান সরকারি করেছেন। বহু শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ৪-৫-৬ তলাবিশিষ্ট বিল্ডিং স্থাপন করেছেন।’

উপজেলা আওয়ামী যুবলীগের আহ্বায়ক জাকির হোসেন জানান, ‘এমপি জগলুল হায়দার ২বার নির্বাচিত সংসদ সদস্য ও উপজেলা আওয়ামী লীগের তৃতীয়বারের সভাপতি হওয়ার পর থেকে শ্যামনগর কালীগঞ্জকে আওয়ামী লীগের শক্ত ঘাঁটিতে পরিণত করেছেন।’