Search

রাস্তার দু’পাশের মরা গাছ যেন মরণফাঁদ

জয়পুরহাটের ক্ষেতলাল উপজেলায় দেড় শতাধিক মরা গাছ এখন মরণফাঁদ হয়ে দাঁড়িয়েছে পথচারীসহ এলাকার মানুষের। রাস্তায় দাঁড়িয়ে থাকা এসব গাছে যে কোনো সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটাতে পারে, এমন আতঙ্ক ও আশঙ্কা নিয়ে চলাচল করছে ওই এলাকার পথচারীরা। প্রতিনিয়ত ঘটছে ছোটো-খাটো দুর্ঘটনাও।


রাস্তার দু’পাশের মরা গাছ যেন মরণফাঁদ

গত ২০০২-০৩ সালে ক্ষেতলাল উপজেলার আলমপুর ইউনিয়নের শিবপুর ও মধুপুকুর এলাকার বেশ কয়েকজন মিলে কমিটি গঠন করে মোলামগাড়ি- দুঁপচাচিয়া রাস্তার মধুপুকুর বাজারের দক্ষিণ পাশ থেকে শিবপুর বাজারের উত্তর পাশের হাজিপুর পর্যন্ত সাড়ে তিন কিলোমিটার রাস্তার দুপাশে লাগানো হয় কয়েক শতাধিক ইউক্যালিপটাস, আকাশমনি, শিশুসহ বিভিন্ন প্রজাতির গাছ। গাছের মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ায় সেসব গাছও মরে গেছে অনেক আগেই। ওই রাস্তায় মরা গাছের সংখ্যা দেড় শতাধিক, যার মধ্যে বেশিরভাগই শিশুগাছ। অন্যদিকে বড়াইল ইউনিয়নের হিন্দা শিমুলতলী বাজার থেকে ফুলদিঘি বাজার রাস্তার দুই কিলোমিটারে ১৬টি শিশুগাছ ও ৮টি মৃত তালগাছও ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় আছে।

চুক্তির মেয়াদ শেষ হলেও সেসব মরা গাছগুলো কাটার কোনো ব্যবস্থা না করায় তা ঝুঁকিপূর্ণ ও মরণফাঁদ হয়ে দাঁড়িয়েছে। অল্প বাতাসেই ভেঙে পড়ছে সেসব মরা গাছ ও গাছের ডালপালা। এতে প্রতিনিয়ত ঘটছে ছোটোখাটো দুর্ঘটনা। ঝুঁকি নিয়েই রাস্তায় চলাচল করছে পথচারীরা এবং জমিতে আবাদ করছে রাস্তার পাশের জমির মালিকরা।

তবে বনবিভাগ বলছে টেন্ডার কার্যক্রম চলমান, কিছুদিনের মধ্যেই গাছগুলো কাটা হবে।

 

 

ভ্যানচালক আব্দুস সালাম জানান, প্রতিদিন তাকে এই রাস্তায় চলাচল করতে হয় জীবনের ঝুঁকি নিয়ে। কয়েকদিন আগেই ঝড়ে একটি গাছের ডাল ভেঙে পড়ে এক মহিলা যাত্রীর হাত ভেঙে গেছে। এজন্য তাদের আতঙ্ক আরও বেড়ে গেছে বলে জানান তিনি।

হাসানুল বান্না নামের এক ভ্যান যাত্রী বলেন, একটু বাতাস হলেই এই রাস্তা দিয়ে আর চলাচল করা যায় না। না জানি কখন কার মাথার উপর ভেঙে পড়ে। কেন যে এসব গাছ কাটা হচ্ছে না জানি না। দ্রুত এই গাছগুলো কাটা হোক।

গাছের উপকারভোগী খলিলুর রহমানসহ অনেকেই জানান, চুক্তির মেয়াদ শেষ হয়ে গেলেও এখনও গাছগুলো কাটা হয়নি। বর্তমানে মরা গাছগুলো ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় দাঁড়িয়ে আছে। এতে একদিকে মানুষের ঝুঁকি বেড়েছে, অন্যদিকে গাছগুলোর দেখভাল করেও উপকার ভোগ করতে পারছেন না তারা। আমরা বন কর্মকর্তাকে বলেছি। তারা বলেছে কাটা হবে।

স্থানীয় আলমপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আনোয়ারুজ্জামান তালুকদার নাদিম কালবেলাকে বলেন, গাছগুলো মরে যাওয়ায় ওই রাস্তা দিয়ে মানুষ ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে। উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও বন বিভাগের সাথে আলোচনা করে গাছগুলো দ্রুত কর্তনের ব্যবস্থা নেওয়া হবে

এ ব্যাপারে উপজেলা বন কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) এমরান আলী কালবেলাকে বলেন, গাছগুলো কাটার জন্য টেন্ডার কার্যক্রম চলমান রয়েছে। কিছুদিনের মধ্যেই গাছগুলো কাটা হবে।

ক্ষেতলাল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আফতাবুজ্জামান আল ইমরান কালবেলাকে বলেন, আমি এ উপজেলায় নতুন যোগদান করেছি। বিষয়টি খোঁজ নিয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।