মেম্বারকে টাকা না দিলে মেলে না ভাতার কার্ড
চট্টগ্রামের হাটহাজারীতে বয়স্ক ভাতা, প্রতিবন্ধী ভাতা, বিধবা ভাতা, চালের কার্ড ও মাতৃত্বকালীন ভাতাসহ এমন কোনো ভাতা নেই যেখান থেকে কমিশন নেন না উপজেলার ফতেপুর ইউপির ৯নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও ইউপি সদস্য মো. রাশেল মনি বাহাদুর। কখনো অগ্রিম টাকা, কখনো বা ভাতার টাকার একটি অংশ দেওয়ার পর করিয়ে দেন ভাতার কার্ড। এভাবেই জনগণের কাছ থেকে মোটা অংকের অর্থ আত্মসাৎসহ নানা দুর্নীতির অভিযোগ ওঠে। এ নিয়ে ভুক্তভোগীরা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ওই এলাকার পাকিজা বেগম থেকে বিধবা ভাতাকার্ড দেওয়ার জন্য ৪ হাজার টাকা, মকুলা বেগম থেকে ৭শ টাকা ও সবজি বিক্রেতা মো. ফোরকানকে ওয়ারিশ সনদ দেওয়ার কথা বলে ৫ হাজার টাকা হাতিয়ে নেওয়া হয়েছে। শুধু তাই নয়, এ কাজে তিনি ব্যবহার করেন তার বোন ফেরদৌস বেগমকে। চাহিদা মোতাবেক টাকা দিতে না পারলে ভাতা পাওয়ার উপযোগী হওয়া সত্ত্বেও মেলে না ভাতার কার্ড। তার বিরুদ্ধে এলাকাবাসীর অভিযোগের শেষ নেই।
অভিযুক্ত ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও ইউপি সদস্য মো. রাশেল মনি বাহাদুর বলেন, আমার বিরুদ্ধে আনীত সকল অভিযোগ মিথ্যা। অভিযোগগুলো যদি প্রমাণিত হয় আমি ইউপি সদস্য পদ থেকে স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করব।
হাটহাজারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এবিএম মশিউজ্জামান বলেন, ওয়ারিশ সনদ থেকে টাকা নেওয়ার অভিযোগের একটা শুনানি করেছি। ওই মেম্বারের বিরুদ্ধে আরও কয়েকটি অভিযোগ এসেছে। প্রমাণিত হলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।#