Search

মৃত্যুর ১২ বছর পর জীবিত দেখিয়ে আবেদন

যশোদা দেবনাথ নামে এক ব্যক্তি মারা গেছেন প্রায় ১২ বছর আগে। অথচ তাকে জীবিত দেখিয়ে পল্লী বিদ্যুতের মিটার পরিবর্তনের আবেদন করেন যশোদা দেবনাথের বাসায় ভাড়া থাকা শান্তি রঞ্জন দেবনাথ। পরে আবেদন যাচাই বাছাই না করেই কর্তৃপক্ষ তার নামে নেওয়া মিটারটি পরিবর্তন করে শান্তি রঞ্জন দেবনাথের নামে করে দিয়েছেন।


মৃত্যুর ১২ বছর পর জীবিত দেখিয়ে আবেদন

পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির বাউফল জোনাল অফিসের আওতাধীন বাউফল পৌরসভার বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয় সড়ক এলাকায় এমন ঘটনা ঘটেছে।

অভিযোগ রয়েছে, যশোদার বাসাটি দখলে নেওয়ার জন্যই অবৈধভাবে ভাড়াটে শান্তি রঞ্জন তার নামে ওই মিটার সংযোগ নিয়েছেন। এ বিষয়ে ভুক্তভোগী পরিপারের পক্ষ থেকে পল্লী বিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন করলেও রহস্যজনক কারণে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না।

জানা গেছে, বাউফল পৌরসভার ৪নং ওয়ার্ডের বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয় সড়ক এলাকায় যশোদা দেবনাথের পাকা টিনসেড ঘর রয়েছে। প্রায় ৪০ বছর আগে থেকে ওই ঘরে তার নামে বিদ্যুতের মিটার ছিল। তিনি ২০১১ সালের ২৬ জানুয়ারি মারা যান। মৃত যশোদা দেবনাথের পরিবারের সদস্যরা দীর্ঘদিন ধরে ওই ঘর ভাড়া দিয়ে পাশের দশমিনা উপজেলার গোপালদি গ্রামে থাকেন। সেই সুযোগে শান্তি রঞ্জন দেবনাথ নামে তার এক আত্মীয় মৃত যশোদা দেবনাথকে জীবিত দেখিয়ে তার নামের মিটারটি হস্তান্তরের জন্য পটুয়াখালী পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কাছে আবেদন করেন এবং একই স্থানে ২০২২ সালের ৭ ডিসেম্বর শান্তি রঞ্জন দেবনাথের নামে একটি নতুন মিটারের সংযোগ দেন।

যশোদা দেবনাথের ছেলে কানাই চন্দ্র দেবনাথ জানান, পৌরসভার হোল্ডিং ট্যাক্স ও বিদ্যুৎ বিল নিয়মিত পরিশোধ করে আসছেন। কোনো বকেয়া নেই। এরপরেও তার মৃত বাবাকে প্রায় ১২ বছর পর জীবিত দেখিয়ে তার (যশোদা) নামে আবেদন করে মিটার সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে। বিষয়টি জানার পর পুনঃসংযোগ দেওয়ার জন্য পটুয়াখালী পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির বাউফল জোনাল অফিসের উপমহাব্যবস্থাপক (ডিজিএম) বরাবর আবেদন করেন। এক বছর পর্যন্ত তারা ঘুরাতে থাকে। নিরুপায় হয়ে পল্লী বিদ্যুতের প্রধান কার্যালয়ের চেয়ারম্যান বরাবর লিখিত অভিযোগ করেন তিনি।

শান্তি রঞ্জন দেবনাথ জানান, মৃত ব্যক্তির নামে কে বা কারা আবেদন করেছেন তা তিনি জানেন না। তবে তিনি যে তার নামে মিটার নিয়েছেন, তা তার ঘরেই স্থাপন করেছেন বলে দাবি করেন।

পটুয়াখালী পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির বাউফল জোনাল অফিসের উপমহাব্যবস্থাপক (ডিজিএম) মো. মুজিবুর রহমান চৌধূরী বলেন, এ বিষয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ তদন্ত করছে।