Search

বেতশিল্পেই ঘোরে যাদের সংসারের চাকা

জীবিকার প্রয়োজনে মানুষ কোনো না কোনো কর্মে লিপ্ত হয়। সুন্দরভাবে সাজাতে চায় নিজের সংসার। স্বল্প আয়ের মধ্যেও সুখ খুঁজে নেওয়া মানুষজন সুখে নেই বললেই চলে।


বেতশিল্পেই ঘোরে যাদের সংসারের চাকা

তবুও তাদের ছুটে চলা পরিবার-পরিজনদের নিয়ে বেঁচে থাকার লড়াই যেন থেমে নেই। আধুনিক যন্ত্রপাতির কাছে টিকে থাকা এই যেন বড়ই কষ্টের। তা ছাড়া প্রতিযোগিতার বাজারে সবই আধুনিকায়ন খুঁজতে গিয়ে বিলুপ্তির পথে বেতশিল্প তথা কুটিরশিল্পের সাম্রাজ্য।

কুমিল্লার লালমাই উপজেলার ২টি গ্রামে প্রায় শতাধিক পরিবার তাদের জীবিকা নির্বাহ করেন শুধু বেতশিল্পের কুলা, ওরা, চালুন, খাঁচাসহ নানা রকমের পণ্য তৈরি করে বিভিন্ন বাজারে বাজারে গিয়ে বিক্রির মাধ্যমে।

বাঁশবন উজাড়ের কারণে দাম বেড়েছে বাঁশেরও। আগের তুলনায় এখন চড়া দামে ক্রয় করতে হচ্ছে বাঁশ। ফলে, বাড়াতে হচ্ছে তৈরিকৃত পণ্যর দাম। তা ছাড়া, প্রতিযোগিতার বাজারে প্লাস্টিকের সঙ্গে টিকে থাকা হয়ে যাচ্চে কষ্টের। ক্ষতির সম্মুখীন হতে হচ্ছে স্বল্প পুঁজির উদ্যোক্তাদের। সারা দিনরাত পরিশ্রম করেও যেন মিলছে না বাজারের পয়সা।

কথা হয় উপজেলার আমুয়া গ্রামের বেতশিল্পে পরিবার পরিজনদের মুখে আহার তুলে দেওয়া মৃত মুখলেছ মাতা সূর্যবানের একমাত্র ছেলে জসিমের সঙ্গে মা বড় বোন আর নতুন স্ত্রীকে নিয়ে সাজানো সংসারের যাবতীয় খরচ সে একাই বহন করে। ভাগ্যর নির্মমতার স্বীকার বড় বোন জপুরার স্বামী দীর্ঘদিন অসুস্থতার পরে গত দুই বছর পূর্বে মারা যায়। তখন থেকেই বোনের পরিবারকে দেখার দায়িত্বও উঠে আসে জসিমের ওপর। আর তাই সারা দিনরাত পরিশ্রম করেও তৈরিকৃত পণ্যর সঠিক দাম না পাওয়াতে কষ্টে জীবন চলে তার।

অপরদিকে বাবার ব্যবসাকে পুঁজি করে সংসার চালাতে হিমশিম খাচ্ছে মাঈন উদ্দিন, সুমনসহ বহু তরুণ উদ্যোক্তা।

স্বল্প পুঁজির মানুষের মুখে হাসি ফুটাতে নেই কোনো ঋণ সুবিধা। সে জন্য কোনো প্রকার সুযোগ-সুবিধা না পেয়ে হতাশাগ্রস্ত হয়ে পড়েছেন অনেকেই। বেতশিল্প রক্ষায় ক্ষুদ্রঋণ সুবিধা জন্য সরকারের কাছে দাবি জানান তারা।