Search

নৌকায় ভোট না দিলে হাত কেটে ফেলার হুমকি আ.লীগ নেতার

আমি তো ওদের আগে থেকেই চিনি। জিলকদ ভাইকে ভোট দেয় নাই। আবার এইবার দেখার আছে, আমি তো ভেতরে থাকবো, কে নৌকায় ভোট না দেয়। হাত কেটে ফেলবো। ইস্কান্দার, জিলকদের ভাই আমি। জিলকদকে ভোট দেয় নাই, আমার এইখানে ঘাও। তোমরা রেডি থাইকো, সাহস থাকে পাল্লা লইড়ো আমার সাথে। কে আছে আমার বিপরীতে যাবে। দেখার আছে আমার।


নৌকায় ভোট না দিলে হাত কেটে ফেলার হুমকি আ.লীগ নেতার

এভাবেই স্বতন্ত্র প্রার্থীর (ট্রাক প্রতীক) সমর্থকদের কথাগুলো বলছিলেন মানিকগঞ্জ-২ আসনে নৌকার প্রার্থীর সমর্থক ও সিংগাইর উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি আলী ইস্কান্দার। মঙ্গলবার (২৬ ডিসেম্বর) বিকেল ৪টার দিকে সিংগাইর উপজেলার তালেবপুর  ইউনিয়নের ইতরা গ্রামে স্বতন্ত্র প্রার্থী দেওয়ান জাহিদ আহমেদ টুলুর কর্মী-সমর্থকরা প্রচারণা চালানোর সময় এই হুমকি দেন তিনি। 

এ ঘটনার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে আলী ইস্কান্দারকে এসব কথা বলতে শোনা যায়।

তিনি আরও বলেন, ‘দেখার আছে এই বার। চৌদ্দ শিকে ঢুকাইয়া ছাইরা দিমু। সরকার আমার, পাওয়ার আমার, প্রশাসন আমার, এমপি আমার। যাইও ভোট দিবার, যাইও ট্রাক মার্কায়। ট্রাকের চাকার তলে (নিচে) ফালাই দিমু। ফাজলামো। হাড্ডি মাংস এক কইরা ফালামু। প্রত্যেকটাকে গুলি করবো।’

ঘটনাস্থলে উপস্থিত থাকা স্বতন্ত্র প্রার্থী দেওয়ান জাহিদ আহমেদ টুলুর কর্মী রাহুল খান ইমু বলেন, আজকে বিকেল ৪টার দিকে আব্দুর রাজ্জাক, মিনহাজ, আমিনুর, শাহিনুর ও মানিকসহ বেশ কয়েকজন কর্মীদের নিয়ে উপজেলার ইরতা এলাকায় ছোট পোস্টার (হ্যান্ড বিল) বিতরণের মাধ্যমে ভোটারদের কাছে ট্রাক মার্কায় ভোট চাইছিলাম। এ সময় হঠাৎ করে সেখানে একটি প্রাইভেটকার নিয়ে হাজির হন সিংগাইর উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি আলী ইস্কান্দার। আমরা ট্রাক মার্কায় কেন ভোট চাচ্ছি বলেই তিনি আমাদের ওপর চটে যান এবং স্বতন্ত্র প্রার্থীর কর্মীদের হাত কেটে নেওয়াসহ গুলি করার হুমকি দেন এবং ভয়ভীতি দেখান। এ সময় সঙ্গে থাকা একজন এই দৃশ্য ভিডিও ধারণ করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে দেন। মুহূর্তেই ভিডিওটি ভাইরাল হয়ে যায়।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে মুঠোফোনে উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি আলী ইস্কান্দার বলেন, স্বতন্ত্র প্রার্থীর কর্মীরা টাকা ও চকলেট বিতরণ করছে খবর শুনে আমি সেখানে যাই। আমার ভাই ডা. জিলকদ এক সময় নৌকার প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করেছিলেন। কিন্তু তারা ভোট দেয়নি। এ কারণে মনে অনেক কষ্ট। উত্তেজিত হয়ে তাদের অনেক কথা বলেছি। আমি রাগ নিয়ন্ত্রণ করতে পারি নাই। এ রকম আমার আগে কখনো হয়নি। আমার ভুল হয়েছে। আমি ক্ষমাপ্রার্থী।