তিন প্রজন্মের পর তিন গ্রামের মানুষ পাচ্ছে পাকা রাস্তা
সরু কাঁচা রাস্তা ছাড়া চলাচলের ছিল না বিকল্প কোনো পথ। একটু বৃষ্টি হলেই বাসিন্দাদের পড়তে হতো বিপাকে। বৃষ্টির দিনে গাড়ি চলা তো দূরের কথা, হাঁটাও তাদের জন্য হয়ে পড়ত দুর্বিষহ। বাধ্য হয়ে ধরতে হতো আলপথ।

এমন দুর্বিষহ জীবন থেকে মুক্তি পেতে যাচ্ছে মানিগঞ্জের দৌলতপুর উপজেলার ধামশ্বর ইউনিয়নের বীরকাকালীসহ তিন গ্রামের মানুষ। স্বাধীনতার পর এই প্রথম পাকা রাস্তা পেতে চলেছে অবহেলিত এই জনপদের বাসিন্দারা।
সম্প্রতি দৌলতপুর থানার কাপশাইল হতে বীরকাকালি গ্রাম পর্যন্ত প্রায় ২ কিলোমিটার দৈর্ঘের কাঁচা রাস্তাটি পাকা করার কাজ শুরু হয়েছে। বৃহত্তর ঢাকার গ্রামীণ অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্প-৪ (১ম সংশোধিত) এর আওতায় রাস্তাটি পাকা করছে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর। যার ব্যয় ধরা হয়েছে ১ কোটি ৭৬ লাখ টাকা।
এই অঞ্চলের বাসিন্দাদের প্রাণের দাবি ছিল একটি পাকা রাস্তা। দীর্ঘ অপেক্ষা ও আপ্রাণ চেষ্টার পর অবশেষে তাদের সেই স্বপ্ন পূরণ হতে চলেছে। তাই তো এলজিইডি’র কর্মকর্তারা যখন রাস্তাটির মাপ নিচ্ছিলেন, তখন গ্রামের ছেলে-বুড়ো সবাই এসে ভিড় জমাচ্ছিল সেখানে। এরপর থেকে পুরো অঞ্চলে বইছে খুশির আমেজ।
গ্রামের বাসিন্দা সাংবাদিক আশরাফ বলেন, এই রাস্তাটি নিয়ে আমাদের দুঃখের কোনো সীমা ছিল না। একটু বৃষ্টি হলেই হাঁটার মতো অবস্থা থাকত না। কেউ অসুস্থ হলে তাকে হাসপাতালে নেওয়ার ব্যবস্থা ছিল না। আমাদের তিন প্রজন্মের অপেক্ষার সমাপ্তি ঘটতে চলেছে। এটি আমাদের জন্য খুবই আনন্দের।
গ্রামের আরেক বাসিন্দা আইনজীবী সেলিম দেওয়ান জানান, এই রাস্তাটি পাকা করার জন্য আমরা দীর্ঘদিন ধরে দাবি জানিয়ে আসছি। আমাদের আগে আমাদের বাবা-চাচারা দাবি জানিয়েছে। কিন্তু নানা জটিলতায় এতদিন ধরে অবহেলিত ছিলাম। অবশেষে আমাদের প্রাণের দাবিটি পূরণ হতে চলেছে।
নানা জটিলতায় আটকে থাকা কাঁচা রাস্তাটি অবশেষে আলোর মুখ দেখতে যাচ্ছে। গ্রামের বাসিন্দাদের কষ্ট লাঘবে দ্রুতই রাস্তাটি পাকা করা হবে বলে আশ্বাস দিয়েছেন প্রকল্পের ঠিকাদার।#