গাজার আল-শিফা হাসপাতালে মৃত্যুর সঙ্গে লড়ছে ৩৯ শিশু
ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকার সবচেয়ে বড় হাসপাতাল আল-শিফায় একের পর এক হামলা চালাচ্ছে ইসরায়েল। ইসরায়েলি হামলার মধ্যে জ্বালানি ফুরিয়ে যাওয়ায় হাসপাতালের সব জেনারেটর বন্ধ হয়ে গেছে। এ কারণে এই হাসপাতালে এখন মৃত্যুর সঙ্গে লড়ছে ইনকিউবেটরে থাকা ৪৫টি শিশু। খবর আলজাজিরার।

হামাস শাসিত গাজার উপস্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. ইউসুফ আবু আলরেশ বলেছেন, আমাদের ইনকিউবেটরে ৪৫টি নবজাতক শিশু আছে। এসব শিশু এখন মৃত্যুর সঙ্গে লড়ছে। আমরা হাসপাতালের ভেতরে সম্পূর্ণ আটকা। বাইরের দুনিয়া থেকে বিচ্ছিন্ন। কোনো চিকিৎসা ব্যবস্থা ছাড়াই এখানে পড়ে আছি। আমরা মৃতদেহ পর্যন্ত দাফন করতে পারছি না।
ইসরায়েলি হামলার মধ্যে হাসপাতালের বর্তমান পরিস্থিতি বর্ণনা করে ডা. ইউসুফ বলেন, জ্বালানি না থাকায় হাসপাতালের সব জেনারেটর বন্ধ হয়ে গেছে। কেউ হাসপাতালের আশপাশে ঘোরাফেরা করতে পারছে না। ড্রোন ছাড়াও সেখানে ইসরায়েলি স্নাইপার মোতায়েন করে রাখা হয়েছে। কেউ নড়াচড়া করলেই গুলি করছে।
এদিকে গাজায় টানা ৩৬ দিনের অব্যাহত বোমাবর্ষণে নিহত মানুষের সংখ্যা ১১ হাজার ছাড়িয়েছে। শুক্রবার (১০ নভেম্বর) গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, এখন পর্যন্ত গাজায় ১১ হাজার ৭৮ জন মানুষ নিহত হয়েছে। এদের মধ্যে ৪ হাজার ৫০৬ জন শিশু রয়েছে।
গত ৭ অক্টোবর গাজা থেকে ইসরায়েলে নজিরবিহীন হামলা চালায় ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস। হামাসের হামলার জবাবে গাজায় টানা বিমান হামলা চালাচ্ছে ইসরায়েল। অব্যাহত বোমাবর্ষণের মধ্যেই এবার সেখানে বড় ধরনের স্থল হামলা শুরু করেছে ইসরায়েলি সেনারা।