Search

কেশবপুরে আদালতের আদেশ অমান্য করে জমি দখলের চেষ্টা

কেশবপুর (যশোর) প্রতিনিধি: যশোরের কেশবপুরে আদালতের নির্দেশ অমান্য করে একটি পরিবারের জমি জবর-দখলের চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে। শুক্রবার সকালে (১ সেপ্টেম্বর) উপজেলার মধ্যকুল গ্রামে এ ঘটনাটি ঘটে। জমির মালিক কেশবপুর থানা পুলিশকে বিষয়টি জানালে থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আবুল হোসেন সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে ঘটনাস্থলে গেলে তারা সটকে পড়ে। এ ব্যাপারে কেশবপুর থানায় একটি অভিযোগ দেওয়া হয়েছে।


কেশবপুরে আদালতের আদেশ অমান্য করে জমি দখলের চেষ্টা

ওই জমি নিয়ে যশোরের কেশবপুর বিজ্ঞ সহকারী জজ আদালতে একটি দেওয়ানী বনটক মামলা করেছেন মধ্যকুল গ্রামের মৃত্যু আব্দুল করিম খানের ওয়ারেশ গণ সালেহা খাতুনগংরা। যার মামলা নং- ১৪/৯৭। মামলাটি বর্তমানে আদালতে বিচারাধীন রয়েছে। ওই মামলায় সকল পক্ষের আইনজীবির উপস্থিতিতে বিজ্ঞ আদালত দীর্ঘ শুনানী শেষে, কেশবপুর পৌর শহরের মধ্যকুল গ্রামের ৭৫ নং মৌজার সাবেক দাগ-৮৩৩, ৮৩৪, ৮৩৫, ৮৩৬, ৮৩৭ ও ৮৩৮, আর এস দাগ- ৩৪৩০, ৩৪৩১, ৩৪৩২, ৩৪৩৮সহ ১২টি দাগের, ১০১ শতক জমির উপর পরবর্তি আদেশ না হওয়া পর্যন্ত অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞার আদেশ দিয়েছেন। যার আদেশ নম্বর- ০৩, তারিখ- ০৩/০৩/২০২২। 

অভিযোগে জানা যায়, শুক্রবার সকালে পাশ্ববর্তী মণিরামপুর উপজেলার চিনাটোলা গ্রামের আনছার আলি মোড়লের ছেলে জাকির হোসেন শিমুল ও তার ভাই মোশারাফ হোসেনের নেতৃত্বে ৮/১০ জন যুবক মধ্যকুল গ্রামের মৃত করিম খানের ছেলে ওয়াজেদ খানের দখলীয় জমিতে, আদালতের আদেশ অমান্য করে ৩৪৩০, ৩৪৩১ দাগসহ ৩টি দাগে জোর পূর্বক প্রবেশ করে ৮টি সিমেন্টের পিলার পুতে সেখানে জমির সীমানা নিদ্ধারণ করার চেষ্টা করে। এসময় জমির মালিকের বর্গাদার আতিয়ার রহমান আতি, বিষয়টি তাকে জানালে তিনি ঘটনাস্থলে ছুটে যায়। এ সময় বাঁধা-নিষেধ করলে শিমুলগংরা জমির মালিকের ওপর চড়াও হয়। এসময় তিনি দ্রুত থানায় গিয়ে বিষয়টি থানা পুলিশকে জানালে পুলিশ তাৎক্ষনিক ঘটনাস্থলে ছুটে যায়। পুলিশ আসতে দেখে তারা সটকে পড়ে। ওই জমিতে মৎস্য ঘের রয়েছে বলে জানা যায়। 

জমির মালিক ওয়াজেদ খান বলেন, ওই জমিতে বিজ্ঞ আদালতের নিষেধাজ্ঞাসহ মামলা বিচারাধীর রয়েছে। এছাড়া আমি ওই জমি  ৩০ বছর ধরে ভোগ দখলে আছি। এবই মধ্যে শিমুলগংরা জমি জোর পূর্বক দখলে নেয়ার জন্য চেষ্টা করছে।
কেশবপুর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আবুল হোসেন সাংবাদিকদের বলেন, জমি দখলের খবর পেয়ে তিনি সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে ঘটনাস্থলে যা। আমি যাওয়ার আগেই তারা চলে যায়। এছাড়া বিজ্ঞ আদালতের নিষেধাজ্ঞার আদেশ ও ইনফার্মিশন শ্লিপ পর্যালোচনা করে দেখা যায়, ওই সকল জমিতে পরবর্তি আদেশ না হওয়া পর্যন্ত বর্তমানে আদালতের অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা বলবত রয়েছে।