কারাবন্দি ব্যক্তি বাস ভাঙচুরের আসামি, ওসি বললেন ‘জানি না’
কারাগারে থাকা ধামরাই বিএনপির এক নেতাকে বাস ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের মামলায় আসামি করা হয়েছে বলে দাবি করেছে তার পরিবার।

ভুক্তভোগীর ছেলে আশিকুর রহমান জানান, শনিবার ধামরাই থানা পুলিশ বাদী হয়ে বিএনপি নেতাকর্মীদের নামে মামলা করে। মামলা নম্বর ৩২। এ মামলায় ৪৩ জনের নাম উল্লেখসহ ১৫০ জনকে আসামি করা হয়েছে। মামলার ৩৬ নম্বর আসামি করা হয়েছে আতিকুর রহমানকে।
তিনি বর্তমানে কারাগারে রয়েছেন।
ভুক্তভোগীর স্বজনদের অভিযোগ, গাঙ্গুটিয়া ইউনিয়নের কৃষ্ণপুরা বাথুলী গ্রামের সাবেক ইউপি সদস্য আবুল বাসার মন্টুকে শুক্রবার সন্ধ্যায় বাড়ি থেকে আটক করে পুলিশ। তাঁকে শনিবার ভোরে রাস্তায় ককটেল বিস্ফোরণ ও অগ্নিসংযোগ মামলায় আসামি করা হয়েছে। একই অভিযোগে আটক হন বড় চন্দ্রাইলের সুজন মিয়া।
তিনিও একই মামলায় আসামি হয়েছেন। শুক্রবার রাতে তাঁকেও বাড়ি থেকে আটক করা হয়।
মন্টুর ভাই শুকুর আলী বলেন, ‘শুক্রবার সন্ধ্যায় বাড়ির পাশে বসে গল্প করছিলাম দুই ভাই। ওই সময় ধামরাই থানা পুলিশ ভাইকে আটক করে। আমার ভাইকে সাজানো মিথ্যা গায়েবি মামলায় পুলিশ গ্রেপ্তার দেখিয়েছে।
’
গতকাল শনিবার ওই আসামিদের পাঁচ দিনের রিমান্ড চেয়ে আদালতে পাঠানো হয়। আদালত তাঁদের এক দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন বলে জানান ধামরাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হারুন অর রশিদ।
মামলার এজাহার থেকে জানা যায়, শনিবার ভোর পৌনে ৬টার দিকে ঢুলিভিটা-ধামরাই বাজার সড়কের ধানসিঁড়ি আবাসন প্রকল্পের সামনে বিক্ষোভ মিছিল করে বিএনপির নেতাকর্মীরা। সড়কের ওপর টায়ার জ্বালিয়ে যানবাহন চলাচল বিঘ্ন সৃষ্টি করে। সেখানে কয়েকটি ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায় তারা। পুলিশ খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে আবুল বাসার মন্টু ও সুজন মিয়াকে আটক করে। এ সময় ঘটনাস্থল থেকে দুটি ককটেল, চারটি চকোলেট বোমা ও বিস্ফোরিত ককটে
গতকাল শনিবার ওই আসামিদের পাঁচ দিনের রিমান্ড চেয়ে আদালতে পাঠানো হয়। আদালত তাঁদের এক দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন বলে জানান ধামরাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হারুন অর রশিদ।
মামলার এজাহার থেকে জানা যায়, শনিবার ভোর পৌনে ৬টার দিকে ঢুলিভিটা-ধামরাই বাজার সড়কের ধানসিঁড়ি আবাসন প্রকল্পের সামনে বিক্ষোভ মিছিল করে বিএনপির নেতাকর্মীরা। সড়কের ওপর টায়ার জ্বালিয়ে যানবাহন চলাচল বিঘ্ন সৃষ্টি করে। সেখানে কয়েকটি ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায় তারা। পুলিশ খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে আবুল বাসার মন্টু ও সুজন মিয়াকে আটক করে। এ সময় ঘটনাস্থল থেকে দুটি ককটেল, চারটি চকোলেট বোমা ও বিস্ফোরিত ককটেলের অংশ আলামত হিসেবে জব্দ করে।
এদিকে একই মামলায় ধামরাই উপজেলা বিএনপির সভাপতি তমিজ উদ্দিন, সাধারণ সম্পাদক সামছুল ইসলাম, ঢাকা জেলা যুবদলের সভাপতি ইয়াছিন ফেরদৌস মুরাদসহ ৪৩ জনের নাম উল্লেখসহ ১০০ থেকে ১৫০ জনকে অজ্ঞাতপরিচয় আসামি করা হয়েছে।
তমিজ উদ্দিন বলেন, ‘আমতা ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আতিকুর রহমান এখনো কারাগারে আছেন। অথচ তাঁকে সাজানো মামলায় হয়রানি করছে পুলিশ।’
কারাগারে থাকা ব্যক্তি কিভাবে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ মামলার আসামি হতে পারেন―এমন প্রশ্নের জবাবে মামলার বাদী ধামরাই থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মোহাম্মদ পান্নু মিয়া বলেন, ‘আমি এ বিষয়ে কিছুই বলতে পারব না, আপনি ওসি স্যারের সঙ্গে যোগাযোগ করেন।’
এ বিষয়ে ধামরাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হারুন অর রশিদ বলেন, ‘আতিকুর কোথায় আছে সেটা আমার জানা নেই।’