Search

কাফনের কাপড় নিয়ে ১৩ বছর ধরে নৌকায় বসবাস সুলতানের

ভাঙাচোরা একটি নৌকাই সম্বল। অসহায় প্রতিবন্ধী সুলতান মিয়ার নেই কোনো ঘর কিংবা এক ইঞ্চি জমিও। তাই ঘর বেঁধেছেন নৌকাতেই। ঝড়-বৃষ্টির মধ্যেও কোনোরকমে সংগ্রাম করে বেঁচে আছেন তিনি।


কাফনের কাপড় নিয়ে ১৩ বছর ধরে নৌকায় বসবাস সুলতানের
  •  

ভাঙাচোরা একটি নৌকাই সম্বল। অসহায় প্রতিবন্ধী সুলতান মিয়ার নেই কোনো ঘর কিংবা এক ইঞ্চি জমিও। তাই ঘর বেঁধেছেন নৌকাতেই। ঝড়-বৃষ্টির মধ্যেও কোনোরকমে সংগ্রাম করে বেঁচে আছেন তিনি।

এক টুকরো মাটি না থাকায় তিনি মারা গেলে তার কবর হবে কোথায় সেটিই চিন্তা দরিদ্র এই মানুষটির। এসব চিন্তা থেকেই নৌকায় ১৩ বছর ধরে দাফনের কাপড় রেখে দিয়েছেন সুলতান মিয়া। কাফনের কাপড়ের সঙ্গেই কবর দেওয়ার জন্য রেখেছেন ভিক্ষা করে জমানো কিছু টাকাও।

পিরোজপুর জেলার নেছারাবাদ উপজেলার বলদিয়া ইউনিয়নের পরিষদের সামনের একটি খালে নৌকায় বসবাস করছেন প্রতিবন্ধী ও ভিক্ষুক সুলতান মিয়া। নৌকার সামনে বড় প্লেকার্ডে লেখা তার জীবন কাহিনি, ছোট্ট খালের পাশে জনগুরুত্বপূর্ণ রাস্তা দিয়ে যাওয়ার সময় চোখে পড়বে তার মনের আকুতি দিয়ে লেখা জীবন কাহিনি।

 

এই বলদিয়া ইউনিয়নের রাজাবাড়ী গ্রামে জন্ম সুলতান মিয়ার। যৌবনে কাঠ কাটতে গিয়ে মাথায় আঘাত পেয়ে অসুস্থ হয়ে পড়লে চিকিৎসা খরচ মেটাতে নিঃস্ব হয়ে পড়েন তিনি। একটি ঘরের আশায় ইউনিয়ন পরিষদের সামনেই বসবাস করেন তিনি। দীর্ঘ ১৩টি বছর অপেক্ষা করেও পাননি স্থানীয় জনপ্রতিনিধি কিংবা উপজেলা প্রশাসনের সহযোগিতা।

 

 

নেছারাবাদ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মনিরুজ্জামান জানান, কখনো কোনো জনপ্রতিনিধি হতদরিদ্র সুলতান মিয়ার বিষয়টি উপজেলা প্রশাসনের কাছে জানায়নি। এখন তাকে সরকারি সব সুযোগ-সুবিধা দেওয়া হবে বলে আশ্বাস দিয়েছেন তিনি।

এলাকাবাসী বলছেন, সুলতান মিয়া খুবই অসহায়। দীর্ঘদিন ধরে এই নৌকায় বসবাস করছেন। সহায়-সম্বলহীন এই মানুষটির কিছুই নেই। অসুস্থ হওয়ায় নেই কোনো উপার্জন। তাই সরকারের পক্ষ থেকে একটি ঘর এবং বয়স্ক বা ভূমিহীন ভাতার ব্যবস্থা করে দিলে খেয়ে পড়ে বাঁচতে পারত এই মানুষটি