এটাই শেষ নির্বাচন, মোদী আবার ক্ষমতায় এলে আর নির্বাচন হতে দেবেন না: খাড়গে
ভারতের প্রধান বিরোধী দল কংগ্রেসের জাতীয় সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে কেন্দ্রীয় সরকার ও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে টার্গেট করে এটাই শেষ নির্বাচন, মোদী আবার ক্ষমতায় এলে আর নির্বাচন হতে দেবেন না। দেশে স্বৈরাচার আসবে বলে মন্তব্য করেছেন।

দেশে আসন্ন সাধারণ নির্বাচনকে সামনে রেখে তিনি আজ (সোমবার) উড়িষ্যায় দলীয় এক সমাবেশে বক্তব্য রাখার সময়ে ওই মন্তব্য করেন। কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে অভিযোগে বলেন, মোদী সরকার মানুষকে ভয় দেখিয়ে তাদের পাশে আনছে। সংবিধান রক্ষার দায়িত্ব এখন আপনাদের।
উড়িষ্যার ভুবনেশ্বরে এক জনসভায় বক্তব্য রাখার সময়ে কংগ্রেস সভাপতি উগ্রহিন্দুত্ববাদী আরএসএস-বিজেপি সম্পর্কে কটাক্ষ করে বলেন, আরএসএস এবং বিজেপি বিষের মতো, তাদের থেকে দূরে থাকাই ভালো। কংগ্রেসের সাবেক সভাপতি রাহুল গান্ধীর কর্মসূচি প্রসঙ্গে খাড়গে বলেন, রাহুল গান্ধী দেশকে ঐক্যবদ্ধ করতে চান, সেই কারণেই তিনি 'ভালোবাসার দোকান' খুলেছেন। কিন্তু বিজেপি ও আরএসএস ‘ঘৃণার দোকান’ খুলেছে। তাই তাদের ব্যাপারে জনগণকে সতর্ক থাকতে হবে। বিজেপি ও আরএসএস বিষ, তারা আমাদের অধিকার থেকে বিচ্ছিন্ন করে দিচ্ছে।
অন্যদিকে, আজ বিহারে ‘ভারত জোড়ো ন্যায় যাত্রা’ কর্মসূচিতে কংগ্রেসের সাবেক সভাপতি রাহুল গান্ধী এমপি বলেন, 'আরএসএস এবং বিজেপির আদর্শ দেশে সহিংসতা ও ঘৃণা ছড়িয়েছে। ভাই-ভাইয়ের সাথে লড়াই করছে, এক ধর্মের লোক অন্য ধর্মের লোকের সাথে লড়াই করছে, ভাষার লড়াই চলছে। আমরা জানি এটা ভালোবাসার দেশ, ঘৃণার বাজারে ভালোবাসার দোকান খুলতে হবে।
রাহুল গান্ধী জাতিভিত্তিক আদমশুমারির উপর গুরুত্ব দিয়ে বলেন, ভারত সরকার ৯০ জন কর্মকর্তা দ্বারা পরিচালিত হয়। এই কর্মকর্তারা দেশের পুরো বাজেটের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেন। কিন্তু এই ৯০ জন কর্মকর্তার মধ্যে ‘ওবিসি’ ক্যাটাগরির (অন্যান্য অনগ্রসর শ্রেণি) মাত্র ৩ জন! তাই আমরা সামাজিক ন্যায়বিচারের জন্য একটি বিপ্লবী কাজ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। গোটা দেশের জানা উচিত ভারতে কত ‘ওবিসি’, দলিত, উপজাতি ও সংখ্যালঘু মানুষ আছে। তাই জাতি শুমারি খুবই গুরুত্বপূর্ণ বলেও মন্তব্য করেন কংগ্রেসের সাবেক সভাপতি রাহুল গান্ধী এমপি।#