Search

ঈদের দিনে সড়ক দুর্ঘটনায় ১৬ জনের মৃত্যু

ঈদ দিন সারা দেশে সড়ক দুর্ঘটনায় ১৬ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। এদের মধ্যে রাজধানীর গুলশানে একজন, নেত্রকোনার কলমাকান্দায় তিনজন, পঞ্চগড়ে দুইজন, খাগড়াছড়ির গুইমারায় দুইজন এবং নরসিংদীতে দুইজন। বাংলাদেশ জার্নালের রিপোর্টার ও জেলা প্রতিনিধিদের পাঠানো তথ্যে ১৬ জনের মৃত্যুর বিষয়টি উঠে এসেছে।


ঈদের দিনে সড়ক দুর্ঘটনায় ১৬ জনের মৃত্যু

একটি বাসকে ওভারটেক করছিল। এ সময় বিপরীত দিক থেকে আসা আরেকটি যাত্রীবাহী বাস ওই মোটরসাইকেলটিতে ধাক্কা দেয়। ওই সময় মোটরসাইকেলটি বাসের নিচে চলে যায়। এতে ঘটনাস্থলেই সানি ও শাহিন মারা যায়। গুরুতর আহত হয় সায়েম নামে আরেক মোটরসাইকেল আরোহী। তাকে উদ্ধার করে নরসিংদী ১০০ শয্যা জেলা হাসপাতালে পাঠানো চিকিৎসক সায়েমকে ঢাকায় পাঠান।

ইটাখোলা হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মো. ইলিয়াস জানিয়েছেন, সড়ক দুর্ঘটনায় ২ জন মারা গেছেন। তাদের মরদেহ জেলা হাসপাতালে রয়েছে।

 

 

চুয়াডাঙ্গা: ঈদের দিন বন্ধুদের সঙ্গে ঘুরতে বেড়িয়ে মোটরসাইকেল নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে শামীম হোসেন নামে এক কিশোরের মৃত্যু হয়েছে। বৃহস্পতিবার বিকেলে চুয়াডাঙ্গার দর্শনা-হিজলগাড়ী সড়কে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

 

 

পুলিশ জানায়, বৃহস্পতিবার বিকেলে বন্ধুদের সঙ্গে মোটরসাইকেল নিয়ে ঘুরতে বের হয় শামীম। এসময় দর্শনা-হিজলগাড়ী সড়কের ডিহি কেষ্টপুর ফার্মের সামনে মোটরসাইকেল প্রতিযোগিতায় নিয়ন্ত্রণ হারায় সে। এতে রাস্তার পাশের খেজুর গাছের সঙ্গে সজোরে ধাক্কা লাগে। গুরুতর আহত অবস্থায় শামীমকে উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে নেয়া হয়। সেখান থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়ার পথে রাতে মারা যায় শামীম।

 

 

নড়াইল: ফরিদপুর থেকে তিন বন্ধু মিলে ঈদের দিন মোটরসাইকেল নিয়ে ঘুরতে বের হয়ে নড়াইলে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছেন দুইজন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও দুইজন।

 

 

বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল) রাত সাড়ে ৮টার দিকে জেলার সদর উপজেলার ডৌয়তলায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।

 

 

নিহত মোটরসাইকেল আরোহী একজনের নাম আলছাফ মাতুব্বর (২২)। তিনি ফরিদপুরের সালথা উপজেলার কুমোরপট্টি গ্রামের আসাদ মাতুব্বরের ছেলে। নিহত অন্যজন পথচারী। তার পরিচয় এখন পাওয়া যায়নি।

 

 

পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ফরিদপুরের তিনজন যুবক একটি মোটরসাইকেল নিয়ে ফরিদপুর থেকে নড়াইলে আসার পথে সদরের ডৌয়াতলা এলাকায় পৌঁছালে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রাস্তার পাশের সুপারি গাছে সজোরে ধাক্কা দেয়। এসময় মোটরসাইকেলে থাকা তিন আরোহীর মধ্যে আলছাফ মাতুব্বর ঘটনাস্থলেই মারা যায়।

 

 

গুরতর আহত অবস্থায় মোটরসাইকেলে থাকা অন্য দুইজন এবং এক পথচারীকে স্থানীয়রা উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে আসলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আহত অজ্ঞাত পথচারীও মারা যান।

 

 

এদিকে গতকাল বুধবার বিকেলে রাজধানীর সরদঘাটে লঞ্চের ছিঁড়ে যাওয়া দড়ির আঘাতে একই পরিবারের তিনজনসহ ৫জনের মৃত্যু হয়েছে। নিহতদের মধ্যে একই পরিবারের তিনজন হলেন- পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ার মো. বেলাল (৩০), তার স্ত্রী মুক্তা (২৪) এবং তাদের চার বছর বয়সী মেয়ে মাইশা।

 

 

দুর্ঘটনার খবর পেয়ে স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে (মিটফোর্ড) ছুটে আসেন নিহত বেলালের স্ত্রীর ভগ্নিপতি জহিরুল ইসলাম। তিনি জানান, গাজীপুরের একটি পোশাক কারখানায় কাজ করতেন বেলাল। স্ত্রী ও মেয়েসহ সেখানেই থাকতেন। ঈদের দিনে লঞ্চে করে পিরোজপুরে যেতে সদরঘাটে এসেছিলেন তারা।

তিনি জানান, বেলালের মা-বাবা অনেক আগেই মারা গেছেন। ঈদের দিনে স্ত্রী–সন্তান নিয়ে গ্রামে ফিরতে গিয়ে সেও প্রাণ হারালো। এতে বেলালের পরিবারে আর কেউ রইলো না।

১১ এপ্রিল বিকেল সোয়া ৩টার দিকে সদরঘাটে দুই লঞ্চের মাঝখানে অপর একটি লঞ্চ ভেড়ানোর সময় পন্টুনে বেঁধে রাখা লঞ্চে ধাক্কা লেগে পাঁচজন নিহত হন। বেলালের পরিবার ছাড়াও দুর্ঘটনায় নিহত অন্যরা হলেন- ঠাকুরগাঁওয়ের রবিউল (১৯) ও পটুয়াখালীর রিপন হাওলাদার (৩৮)।