রাতেই অভিযান চালিয়ে সাত কিশোরকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গ্রেপ্তারকৃতরা সবাই ওই এলাকার বাসিন্দা।

তাদের কাছ থেকে দেশীয় বেশকিছু অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন শাহ মখদুম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইসমাইল হোসেন।

তিনি বলেন, 'খোঁজ নিয়ে জেনেছি এই ভিডিও অন্তত চার মাস আগের। তখন আমি এই থানার ওসি ছিলাম না। নাচানাচির সময় ওরা নিজেরাই ভিডিওটা করেছিল।

গতকাল সেটা ভাইরাল করে দেওয়া হয়েছে।'

ওসি জানান, এই কিশোর গ্যাং গ্রুপেরই এক ছেলের নাম আরাফাত। তাকে চারদিন আগে একই গ্রুপের অন্যরা মেরেছে। আরাফাত এখন গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

এই ছেলেটাকে মারধরের কারণে তার পক্ষের কেউ ভিডিওটা ছেড়ে দিয়েছে। 

আরাফাতের অভিভাবক গতকাল (সোমবার) থানায় অভিযোগ করতে এসেছিলেন। কিন্তু তিনি কারো নাম জানাতে পারেননি। তবে মামলা হয়েছে। এখন কারা আরাফাতের ওপর হামলা করেছে এবং চার মাস আগে কারা অস্ত্র হাতে উল্লাস করছিল তার সবকিছুই বেরিয়ে আসবে বলে জানান ওসি।

রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, আরাফাতের মাথায় গুরুতর আঘাত রয়েছে। ইতোমধ্যে তার মাথায় অস্ত্রপচার করা হয়েছে। এখনো শারীরিক অবস্থা সংকটাপন্ন। তাকে হাসপাতালে নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) রাখা হয়েছে।

রামেক হাসপাতালের আইসিইউ ইনচার্জ ডা. আবু হেনা মোস্তফা কামাল জানান, চারদিন আগে হাসপাতালে আনার পরেই আরাফাতকে আইসিইউতে নেওয়া হয়েছে। তাঁর শারীরিক অবস্থা সংকটাপন্ন।#