অসমে ২০ বছরে মুসলিম জনসংখ্যা বৃদ্ধি ও হিন্দু জনসংখ্যা হ্রাসের দাবি
অসমে গত ২০ বছরে মুসলিম জনসংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে এবং একইসময়ে হিন্দু জনসংখ্যা কমে গেছে বলে দাবি করা হয়েছে। অসমে নাগরিকত্বের ভিত্তিবর্ষ নিয়ে মামলার শুনানিতে সম্প্রতি সুপ্রিম কোর্টে ওই দাবি জানিয়েছেন সারা অসম অহোম সংগঠনের আইনজীবী শ্যাম দিভান। অন্যদিকে, কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকে বার্তা দেওয়া হয়েছে বাংলাদেশ থেকে ব্যাপক হারে অনুপ্রবেশের ফলে পাল্টে গেছে অসমের জনবিন্যাস।

সারা অসম অহোম সংগঠন শীর্ষ আদালতকে বলেছে, অবাধ বাংলাদেশি অনুপ্রবেশের ধাক্কায় ২০৪০ সালের মধ্যে অসমে হিন্দুরা সংখ্যালঘুতে পরিণত হওয়ার শঙ্কা প্রকট হয়ে উঠেছে। অহোম সংগঠনের আইনজীবী শ্যাম দিভান বলেন, অসমে মুসলিম জনসংখ্যার হার দেশীয় হারের চেয়ে বেশি। মুসলিম জনসংখ্যার আনুপাতিক হারের নিরিখে জম্মু-কাশ্মীরের পরেই আছে অসম। ১৯৫১/১৯৭১, এই ২০ বছরে রাজ্যে মুসলিম জনসংখ্যা বেড়েছে ৬ শতাংশ। এর বিপরীতে ৭.২ শতাংশ হ্রাস পেয়েছে হিন্দু জনসংখ্যা। তার দাবি- বাংলাদেশ থেকে অবাধে মুসলিম অনুপ্রবেশের সূত্রেই অসমে মুসলিম জনসংখ্যার হার বৃদ্ধি পেয়েছে। অন্যদিকে হিন্দুদের সামাজিক-অর্থনৈতিক গতি কমে যাওয়ার দলে তাদের জনসংখ্যার স্বাভাবিক বৃদ্ধির হার ধাক্কা খেয়েছে।
আইনজীবী শ্যাম দিভানের আশঙ্কা- মুসলিম জনসংখ্যার বৃদ্ধির প্রবণতা অব্যাহত থাকলে অসমিয়া হিন্দুরা হয়তো নিজেদের রাজ্যে সংখ্যালঘু হয়ে যাবেন। অসমের সাবেক রাজ্যপাল এসকে সিনহার বক্তব্য উল্লেখ করে শ্যাম দিভান আরও বলেন, অসমকে বাংলাদেশের সঙ্গে জুড়ে দেওয়া সময়ের অপেক্ষা।
এই পটভূমিতে গত (বৃহস্পতিবার) কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষে সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা আদালতকে বলেন, আবেদনকারীর উদ্বেগ মিথ্যে নয়। এরপরেই প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের নেতৃত্বাধীন সাংবিধানিক বেঞ্চ অসমে ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চের পর থেকে অনুপ্রবেশ নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে সামগ্রিক তথ্য জানতে চেয়েছে।#