Search

'নির্বাচনে জেতাতে ঘুস নেন দেড় কোটি টাকা -অনুসন্ধানী প্রতিবেদন'

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছিলেন সাতক্ষীরার জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হুমায়ুন কবির। বিনিময়ে নগদে ঘুস নিয়েছেন দেড় কোটি টাকা। ব্যাগভর্তি বিপুল অঙ্কের এ টাকা জেলা প্রশাসকের সরকারি বাসভবনে পৌঁছে দেওয়া হয়। নির্বাচনে সহযোগিতার জন্য এভাবে ঘুস দিয়েছেন জাতীয় পার্টির সাবেক সংসদ-সদস্য এইচএম গোলাম রেজার পক্ষে এক নিকটাত্মীয়। কিন্তু ভোটের ফল উলটে যাওয়ায় বিষয়টি সামনে আসে।


'নির্বাচনে জেতাতে ঘুস নেন দেড় কোটি টাকা -অনুসন্ধানী প্রতিবেদন'

অভূতপূর্ব চাঞ্চল্যকর এ ঘটনার বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য-উপাত্ত দিয়ে গত সপ্তাহে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব বরাবরে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন ভুক্তভোগী। তিনি সাতক্ষীরা-৪ (শ্যামনগর-কালীগঞ্জ) সংসদীয় আসনের সাবেক সংসদ-সদস্য। ছিলেন জাতীয় সংসদের হুইপ। জাতীয় পার্টির প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান প্রয়াত হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের একান্ত সচিব হিসাবেও তিনি দায়িত্ব পালন করেন।

সাতক্ষীরার ডিসি মোহাম্মদ হুমায়ুন কবিরের বিরুদ্ধে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে জমা দেওয়া অভিযোগের একটি কপি প্রতিবেদকের হাতে আসে। দুই পৃষ্ঠার চিঠিতে উল্লেখযোগ্য অভিযোগ হিসাবে বলা হয়, গত ৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নোঙ্গর মার্কা নিয়ে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেন ভুক্তভোগী গোলাম রেজা। ডিসি মোহাম্মদ হুমায়ুন কবির নির্বাচনে সহায়তা করার নামে কৌশলে এক কোটি পঞ্চাশ লাখ টাকা তার কাছ থেকে হাতিয়ে নেন। ছেলে ও তার শ্বশুর বস্তায় ভরে এ টাকা জেলা প্রশাসকের সরকারি বাসভবনে পৌঁছে দেন। কিন্তু নির্বাচনে তিনি প্রশাসনের পক্ষ থেকে কোনো সহায়তা পাননি। বরং পদে পদে অসহযোগিতা করা হয়।

এ অবস্থায় ৫ ফেব্রুয়ারি জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে গিয়ে তিনি ডিসির কাছে এই টাকা ফেরত চান। কিন্তু টাকা ফেরত না দিয়ে উলটো ৬ দিন পর এইচএম গোলাম রেজাসহ ৬ জনের বিরুদ্ধে প্রতিপক্ষের নির্বাচনি কার্যালয়ে আগুন দেওয়ার মামলা দেওয়া হয়। এজাহারে বলা হয়, আগুনের ঘটনা ঘটেছে নির্বাচনের আগের দিন ৬ জানুয়ারি। অথচ মামলাটি করা হয় ঘটনার ৩৬ দিন পর। রহস্যজনক ওই অগ্নিসংযোগের ঘটনা ও মামলা নিয়ে জনমনে নানা সন্দেহ দেখা দিয়েছে।

অভিযোগের শেষদিকে তিনি জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিবের কাছে পুরো ঘটনার নিরপেক্ষ তদন্তসহ বিচার দাবি করেন। জরুরি ভিত্তিতে জেলা প্রশাসকের এই অপকর্মের বিরুদ্ধে উচ্চপর্যায়ের তদন্ত কমিটি গঠন করার দাবি জানান। ছেলের শ্বশুর ও ছেলের কাছ থেকে প্রতারণার মাধ্যমে দেড় কোটি টাকা নেওয়ার বিষয়ে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের অনুরোধ করা হয়।

সূত্র পার্স্টুডে