Search

রাজনীতি এখন দুর্বৃত্তদের হাতে বন্দি : সিপিবি

রাজনীতি এখন দুর্বৃত্তদের হাতে বন্দি এমন মন্তব্য করে বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি) নেতারা বলেছেন, সময়ের কারণে রাজনীতি কেনাবেচা, ভাগবাটোয়ারা, আখের গোছানো এবং ক্ষমতা কুক্ষিগত করার হাতিয়ারে পরিণত হয়েছে। এমন বাস্তবতায় দাঁড়িয়ে নীতির প্রশ্নে আপসহীন থেকে শ্রমিক-কৃষক, মেহনতি মানুষের মুক্তির লড়াইয়ে সংগ্রাম চালিয়ে যাচ্ছে সিপিবি নেতাকর্মীরা।


রাজনীতি এখন দুর্বৃত্তদের হাতে বন্দি : সিপিবি

বুধবার (৬ মার্চ) দলের ৭৬তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে রাজধানীর পুরানা পল্টন মোড়ে কেন্দ্রীয় কর্মসূচির সমাবেশে নেতৃবৃন্দ এসব কথা বলেন।

সমাবেশে দলের সভাপতি মোহাম্মদ শাহ আলমের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স, সহকারী সাধারণ সম্পাদক মিহির ঘোষ।

এ সময় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য শাহীন রহমান, অধ্যাপক এ এন রাশেদা, পরেশ কর, সম্পাদক আনোয়ার হোসেন রেজা, কোষাধ্যক্ষ ডা. ফজলুর রহমানসহ পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটির ঢাকাস্থ সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

সমাবেশে মোহাম্মদ শাহ আলম বলেন, বর্তমান রাজনৈতিক বাস্তবতায় সিপিবি সবচেয়ে আপসহীন ও মেহনতি মানুষের স্বার্থে যোগ্য রাজনৈতিক দল হিসেবে নিজেদের প্রমাণ করতে সক্ষম হয়েছে।

এখন রাজনীতি দুর্বৃত্তদের হাতে বন্দি এমন মন্তব্য করে তিনি বলেন, এরাই পালাক্রমে ক্ষমতা দখল করে আছে। এদের হাত থেকে দেশকে মুক্ত করতে হবে। একই সাথে গণতন্ত্রহীনতা, লুটপাটতন্ত্র সাম্প্রদায়িকতা, সাম্রাজ্যবাদ ও আধিপত্য বাদের বিরুদ্ধেও ঐক্যবদ্ধ প্রতিরোধ করে তুলতে হবে।

রুহিন হোসেন প্রিন্স বলেন, ক্ষমতায় গেলে মানুষের মর্যাদা প্রতিষ্ঠা ও সব মানুষের ভোটাধিকার, শিক্ষা, চিকিৎসার অধিকার প্রতিষ্ঠা করবে সিপিবি।

তিনি বলেন, এ পর্যন্ত যারা পালাক্রমে শাসন ক্ষমতায় ছিল এবং আছে তারা মেহনতি মানুষকে অমর্যাদায় রেখেছে। সম ভোটের অধিকারের কথা থাকলেও ভোটাধিকার কেড়ে নেওয়া হয়েছে।

তিনি বলেন, গণতন্ত্রহীনতা, লুটপাটতন্ত্র, সাম্প্রদায়িকতা, সাম্রাজ্যবাদ ও আধিপত্যবাদের হাত থেকে দেশকে মুক্ত করে মুক্তিযুদ্ধের স্বপ্ন বাস্তবায়ন করতে হবে।

তিনি বলেন, সরকার পাচারের টাকা উদ্ধার, খেলাফি ঋণ আদায় ও দুর্নীতি লুটপাট বন্ধে কোনো উদ্যোগ নেয় না। রাস্তাঘাট, হাটবাজারে ইজারা, ভূমি অফিসের দুর্নীতি, চাঁদাবাজি দৈনন্দিন ঘটনায় পরিণত হয়েছে। একদিকে মহাজোট সরকারের দুর্বৃত্তায়িত রাজনীতি ও এদের স্থানীয় দুর্বৃত্ত চক্রের হাতে সাধারণ মেহনতি মানুষ বন্দি। তারা জীবনের মর্যাদা নিয়ে বাঁচতে পারছে না।