মোবাইল ফোন চেক, বয়স্ক লোকদের লাঞ্ছনা গণঅভ্যুত্থানের চেতনার সঙ্গে সাংঘর্ষিক
মোবাইল ফোন চেক, বয়স্ক লোকদের বিবস্ত্র করা ও কান ধরে ওঠবস করানো ছাত্রজনতার গণঅভ্যুত্থানের চেতনার সঙ্গে সাংঘর্ষিক বলে মনে করে জাতীয় ছাত্র পরিষদ। বৃহস্পতিবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এ কথা বলা হয়।

বিবৃতিতে সংগঠনের সমন্বয়ক মো. এলাহান কবির বলেন, “ছাত্রজনতার রক্তের স্রোতে স্বৈরাচার হাসিনা ভারতে ভেসে গেছে। তার ফ্যাসিবাদের গদি চুরমার হয়ে গেছে। আমরা দ্বিতীয় স্বাধীনতা পেয়েছি। ১৫ আগস্ট ১৯৭৫ স্বাধীন বাংলাদেশের স্থপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সপরিবারে নিহত হয়েছিলেন। ব্যক্তিগত শোক পালনের অধিকার সংবিধান সম্মত। কিন্তু প্রতিবিপ্লব ঠেকানোর নামে শোক পালন করতে আসার সন্দেহে বয়ষ্ক ব্যক্তিদের বিবস্ত্র করা, কান ধরে ওঠবস করানো, মোবাইল ফোন চেক করাসহ নানাভাবে লাঞ্ছিত করার যে অভিযোগ উঠেছে, বিষয়টি আমাদের মর্মাহত করেছে। আমরা এ ঘটনার তীব্র নিন্দা জানাই।”
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, পরিস্থিতি দেখে মনে হচ্ছে শাসক পরিবর্তন হলেও আমরা এখনো ফ্যাসিবাদী শাসনেই বসবাস করছি। আগস্ট বিপ্লবের চেতনা যেন ধুলিস্যাৎ হয়ে গেছে। শহীদের রক্তের দাগ এখনো শুকায়নি। আহতদের আর্তনাদে মেডিকেলগুলো ভারী হয়ে উঠছে। প্রতিদিন চিকিৎসাধীন কেউ না কেউ মারা যাচ্ছেন। এ অবস্থায় সারাদেশে ডিজে পার্টির নামে বিদেশি গান বাজিয়ে যে বিকৃত উল্লাস করা হচ্ছে তা গ্রহণযোগ্য নয়। অতিরঞ্জিত ঘটনাগুলো চলতে থাকলে এত রক্তের বিনিময়ে অর্জিত বিজয় ম্লান হয়ে যাবে। বিষয়টিতে কেন্দ্রীয় সমন্বয়কদের সুদৃষ্টি দেওয়া দরকার। আমরা আশা করি বিষয়টির দ্রুত সমাধান হবে। বিবৃতিতে এলাহান আরও বলেন, “ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে ফুল দিতে আসার সময় বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকীর গাড়ি ভাঙচুরের ঘটনাটি খুবই দুঃখজনক। বিষয়টি খতিয়ে দেখে দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানাচ্ছি।”