নির্বাচনে সহিংসতার অভিযোগ: পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা হচ্ছে- সিইসি
বাংলাদেশের রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে আস্থাহীনতা থাকায় সহিংসতা হচ্ছে। তবে, এ বিষয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে সমন্বয় চলছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসবে এবং সহিংসতাও ধীরে ধীরে কমে আসবে বলে জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়াল।

(বৃহস্পতিবার) দুপুরে রাজধানীর আগারগাঁও নির্বাচন কমিশন ভবনের সভাকক্ষে মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান ড. কামাল উদ্দিন আহমেদ নেতৃত্বে আট সদস্যের প্রতিনিধিদলের বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি।
ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থীদের আচরণবিধি লঙ্ঘন নিয়ে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আওয়াল বলেছেন, সবাই যে আচরণবিধি ভঙ্গ করছে ব্যাপারটা তা নয়। তবে রাজনৈতিক সহিংসতা হচ্ছে।
সিইসি বলেন, শাসক দলের সবাই আচরণবিধি ভঙ্গ করছে, এটা ঠিক না। নির্বাচনের মাঠে আমরা ঘুরেছি, প্রশাসনের ওপর প্রার্থীদের আস্থা আছে বলে আমরা জেনেছি। কিছু কিছু ক্ষেত্রে সহিংসতা, ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও পোস্টার ছেঁড়া হয়েছে। সহিংসতা একেবারেই হয়নি, সেটি বলছি না। আমরা প্রশাসনকে অনুরোধ করেছি তারা যেন এটা কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণ করেন এবং ভোটের দিন যেন একটি সহজ-স্বাভাবিক পরিস্থিতি থাকে।
এ সময় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান ড. কামাল উদ্দিন আহমেদ বলেন, কাউকে ভোট দিতে বাধ্য করা অথবা ভোট প্রয়োগে বাধা প্রধান করা দুইটাই মানবাধিকার লঙ্ঘন। তিনি বলেছেন, সাংবিধানিক দায়িত্বের অধীনে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়ে থাকে। প্রত্যেকের অধিকার আছে তাতে অংশ নেওয়ার। এখন কেউ যদি নির্বাচনে অংশগ্রহণ না করে, সেক্ষেত্রে তিনি তার অধিকার ক্ষুণ্ন করলেন। কিন্তু এতে নিরপেক্ষতার ক্ষেত্রে কোনো প্রভাব পড়বে না। তবে তাদের আহ্বান জানানো উচিত। বিএনপিকে আহ্বান জানানোও হয়েছে, কিন্তু নির্বাচনে না এলে আমাদের কিছু করার নেই।
এদিকে, নির্বাচন কমিশনার (ইসি) রাশেদা সুলতানা বলেছেন, ভোটারদের ভয় পাওয়ার কোনো কারণ নেই। তাদের নিরাপত্তার জন্য আইন করা হয়েছে। যদি কেউ ভোটারদের বাধা দেয়, হুমকি-ধমকি দেয়, পথেঘাটে কিংবা যেখানেই হোক দায়ী ব্যক্তিকে শাস্তির আওতায় আনা হবে। ভোটাররা নির্ভয়ে ও নিঃসংকোচে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সহায়তা নিতে পারবেন। বৃহস্পতিবার সকালে কুড়িগ্রাম জেলা প্রাশাসক ও রিটার্নিং কর্মকর্তার হলরুমে কুড়িগ্রাম জেলার চারটি সংসদীয় আসনে দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রিসাইডিং কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এসব কথা বলেন।#