নির্বাচনে রিটার্নিং অফিসারের দায়িত্বে বিভাগীয় কমিশনার ও জেলা প্রশাসকরা
জাতীয় প্রকাশ: ১৫ নভেম্বর, ২০২৩ ২১:২১ নির্বাচনে রিটার্নিং অফিসারের দায়িত্বে বিভাগীয় কমিশনার ও জেলা প্রশাসকরা নিজস্ব প্রতিবেদক নির্বাচনে রিটার্নিং অফিসারের দায়িত্বে বিভাগীয় কমিশনার ও জেলা প্রশাসকরা নির্বাচন কমিশন ভবনে সংবাদ সম্মেলন করেন ইসি সচিব মো. জাহাংগীর আলম। ছবি : কালের কণ্ঠ আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ৬৬ জন রিটার্নিং অফিসার দায়িত্ব পালন করবেন। যার ভেতর ঢাকা ও চট্টগ্রাম মহানগরীর জন্য বিভাগীয় কমিশনাররা দায়িত্ব পালন করবেন। এ ছাড়া ৬৪ জেলায় ৬৪ জন জেলা প্রশাসক দায়িত্ব পালন করবেন। আজ বুধবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে অবস্থিত নির্বাচন কমিশন ভবনে নির্বাচন কমিশনের আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান নির্বাচন কমিশন সচিব মো. জাহাংগীর আলম।

সময় তিনি বলেন, 'রিটার্নিং অফিসার ছাড়াও বাংলাদেশের বর্তমানে ৪৯৫টি উপজেলা নির্বাহী অফিসাররা সহকারী রিটার্নিং অফিসারের দায়িত্ব পালন করবেন। আর মহানগর, ক্যান্টনমেন্ট এবং যে সমস্ত উপজেলাগুলো একাধিক নির্বাচনী আসনে বিভাজিত হয়েছেন সে সমস্ত আসনে ভিন্ন ভিন্ন কর্মকর্তারা সহকারী রিটার্নিং অফিসারের দায়িত্ব পালন করবেন। এদের মধ্যে উপজেলা /থানা নির্বাচন অফিসার ৫৬ জন, উপ-পরিচালক স্থানীয় সরকার ১৪ জন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক ৮ জন, জোনাল এক্সিকিউটিভ অফিসার সিটি করপোরেশন ১১ জন, ক্যান্টনমেন্ট এক্সিকিউটিভ অফিসার ৫ জন, সহকারী কমিশনার (ভুমি) ২ জন এবং সার্কেল অফিসার (উন্নয়ন) ১ জন। তারা নির্বাচনের সহায়ক কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন।
'
তিনি আরো বলেন, 'নির্বাচন কমিশন বুধবার ২৬তম সভায় দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনের তফসিল চূড়ান্ত করেছে। সেখানে কয় তারিখে ভোটগ্রহণ শুরু হবে ইত্যাদি সব বলে দেওয়া হয়েছে। কারা কারা রিটার্নিং কর্মকর্তা হবেন, কারা প্রিজাইডিং অফিসার হবেন, সে বিষয়ে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। আপনারা জানেন, নির্বাচন কার্যক্রমের সাথে সম্পৃক্ত ১ থেকে ১৮টি নির্দেশনামূলক পরিপত্র জারি করতে হয়, সে বিষয়ে আলোচনা হয়েছে।
সেগুলো কখন কিভাবে জারি করতে হবে, কীভাবে আমাদের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেরা দায়িত্ব পালন করবেন, জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটেরা দায়িত্ব পালন করবেন- এসব বিষয়ে কমিশন আমাদের নির্দেশনা দিয়েছে। তার আলোকে আমরা দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনের পরবর্তী কার্যক্রম গ্রহণ করব।'
যারা নির্বাচনে না আসার ঘোষণা দিয়েছে, তাদের বিষয়ে কোনো আলোচনা হয়েছে কিনা জানতে চাইলে ইসি সচিব বলেন, 'এই বিষয়টি নির্বাচন কমিশনের এখতিয়ারবহির্ভূত বিধায় আজকের সভায় কোনো আলোচনাই হয়নি। আমরা তফসিল ঘোষণা করেছি। তফসিল অনুযায়ী রাজনৈতিক দল নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে তাদের পদপ্রার্থিতা ঘোষণা করবে, মনোনয়ন দাখিল করবে, বাছাইয়ে উন্নীত হবে, প্রচারণায় যাবেন, তখন থেকে পদপ্রার্থীদের সকল ধরনের সমতল অবস্থা প্রতিষ্ঠার জন্য নির্বাচন কমিশন দায়িত্ব পালন করতে পিছপা হবে না।
'
পুনঃতফসিলের কোনো সম্ভাবনা আছে কিনা জানতে চাইলে এমন সচিব বলেন, 'ভবিষ্যৎ কী হবে সেই প্রশ্ন যদি আজকে আমাকে করেন। নির্বাচনের অনেকগুলো ধাপ আছে। সমস্ত কার্যক্রম ধাপে ধাপে গ্রহণ করা হয়। আপনারা বলছেন, নির্বাচন সময়কালীনের বিষয়টা। এখন নির্বাচনের পূর্বকালীন সময়। তফসিলের সময় থেকে নির্বাচনের আগ পর্যন্ত যখন যেটা প্রয়োজন হবে, কমিশন তখন সেই কার্যক্রম গ্রহণ করবে।'