কেশবপুর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে লড়াই হবে চতুর্মুখী

কামরুজ্জামান রাজু, কেশবপুর (যশোর): যশোরের কেশবপুর উপজেলা পরিষদ নির্বাচন ৮ মে (বুধবার) । প্রথম ধাপে এ উপজেলায় সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত ইভিএমে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। এ নির্বাচনে তিনটি পদে ১৪ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এর মধ্যে চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন সাতজন প্রার্থী। তবে এ পদে ভোটাররা চতুর্মুখী লড়াইয়ের সম্ভাবনা দেখছেন। এর বাইরে ভাইস চেয়ারম্যান পদে পাঁচজন ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে রয়েছেন দুইজন।
নির্বাচনকে অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষভাবে সম্পন্ন করার জন্য সকল ধরনের প্রস্তুতি নিয়েছে নির্বাচন কমিশন। মাঠে রয়েছে, ১২ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও একজন জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট। প্রতিটি ভোটকেন্দ্রে নিয়োগ করা হয়েছে প্রয়োজনীয় সংখ্যক আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। এ ছাড়া মোবাইল ও স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে পুলিশ, আনসার, র্যাব এবং বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে।
ভোটাররা উপজেলা চেয়ারম্যান পদে যে চারজনের মধ্যে তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতা ও চতুর্মুখী লড়াইয়ের সম্ভাবনা দেখছেন তারা হলেন, সাবেক সংসদ সদস্য আব্দুল হালিমের ছেলে মঙ্গলকোট ইউনিয়নের সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ-নূর-আল আহসান বাচ্চু (দোয়াত-কলম), বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা কাজী রফিকুল ইসলামের ছেলে উপজেলা যুবলীগের সাবেক আহ্বায়ক কাজী মুজাহীদুল ইসলাম পান্না (হেলিকপ্টার), বর্তমান উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক নাসিমা আকতার সাদেক (শালিক) ও উপজেলা আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক মফিজুর রহমান (ঘোড়া)। এদের বাইরে রয়েছেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সহপ্রচার সম্পাদক এস এম মাহবুবুর রহমান (মোটর সাইকেল), ত্রিমোহিনী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ নেতা ওবায়দুর রহমান (জোড়া ফুল) ও ব্যবসায়ী ইমদাদুল হক (আনারস)।
এ ছাড়া ভাইস চেয়ারম্যান পদে রয়েছেন, বর্তমান ভাইস চেয়ারম্যান ও উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক পলাশ কুমার মল্লিক (উড়োজাহাজ), সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল লতিফ রানা (মাইক), সাবেক ছাত্রলীগ নেতা সুমন সাহা (চশমা), আব্দুল্লাহ আল মামুন (তালা) ও মনিরুল ইসলাম (টিউবওয়েল)। মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন উপজেলা মহিলা লীগের সভানেত্রী রাবেয়া খাতুন (ফুটবল) ও সাবেক পৌর কাউন্সিলর মনিরা খানম (কলস)।
উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও সহকারী রিটানিং কর্মকর্তা রবিউল ইসলাম বলেন, ‘কেশবপুর উপজেলা পরিষদ ১১টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভা নিয়ে গঠিত। মোট ভোটার সংখ্যা দুই লাখ ২০ হাজার ৯৫৪ জন। এর ভেতর পুরুষ ভোটার এক লাখ ১১ হাজার ৭৭৫ জন, নারী ভোটার এক লাখ নয় হাজার ১৭৭ জন ও হিজড়া দুই জন। মোট ৯৫টি কেন্দ্রের ৬৭০টি কক্ষে সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত ইভিএমে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। ভোটগ্রহণের দায়িত্বে থাকবেন ৯৫ জন প্রিজাইডিং অফিসার, ৬৭০ জন সহকারী প্রিজাইডিং অফিসার ও এক হাজার ৩৪০ জন পোলিং অফিসার’।
তিনি আরও বলেন, ‘নির্বাচনকে অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষভাবে সম্পন্ন করার জন্য সকল ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। ভোটারদেরকে নির্বিঘ্নে নির্ভয়ে ভোটকেন্দ্রে এসে ভোট প্রদানের জন্য অনুরোধ জানানো যাচ্ছে’। #