Search

‘সরকার ক্ষমতায় থাকতে রাজনীতি নিয়ন্ত্রণে মরিয়া’

নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের ক্রমাগত ঊর্ধ্বগতি রোধ করে সাধারণ মানুষের ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে আনতে কার্যকরী ব্যবস্থা না নিয়ে সরকার ক্ষমতায় থাকতে রাজনীতি নিয়ন্ত্রণে মরিয়া হয়ে উঠছে বলে মন্তব্য করেছেন ইসলামী মুক্তিযোদ্ধা প্রজন্ম পরিষদ সভাপতি শহিদুল ইসলাম কবির।


‘সরকার ক্ষমতায় থাকতে রাজনীতি নিয়ন্ত্রণে মরিয়া’

আজ সোমবার এক বিবৃতিতে ইসলামী মুক্তিযোদ্ধা প্রজন্ম পরিষদ এর এক বিবৃতিতে তিনি উপরোক্ত কথা বলেন। 

ইসলামী মুক্তিযোদ্ধা প্রজন্ম পরিষদ সভাপতি বলেন, ‘সরকারের বাণিজ্যমন্ত্রী আলু, পেঁয়াজ ও ডিমের মূল্য নির্ধারণ করে দিয়ে ভোক্তা অধিকার অধিদপ্তরকে নামিয়ে ও বাজার নিয়ন্ত্রণে সরকার ব্যর্থ।’

বিবৃতিতে শহিদুল ইসলাম কবির বলেন, ‘দ্রব্যমূল্যের পাগলা ঘোড়া এখন লাগাম ছাড়া।

 

ব্যবসায়ীদের খামখেয়ালির কারণে সাধারণ মানুষের জীবন বিপর্যস্ত। মেহনতী শ্রমজীবী মানুষের ঘরে ঘরে হাহাকার চলছে। বাজার নিয়ন্ত্রণে সরকারের দৃশ্যমান অপারগতার কথা জনগণ মুখে বলতে না পারলেও তারা ক্ষোভ বুকে চেপে দম বদ্ধকর জীবন অতিবাহিত করছে।’

 

তিনি আরো বলেন, ‘কিছু অসৎ ব্যবসায়ীর কারসাজি, অতি মুনাফাখোরি এবং কিছু ক্ষেত্রে সিন্ডিকেট ও মধ্যস্বত্বভোগীদের প্রভাব কার্যকর।

 

চাল, ডাল, তেল, চিনি, পেঁয়াজ, মসলা প্রভৃতির বাজার গুটিকয়েক ব্যবসায়ী নিয়ন্ত্রণ করলেও এ বিষয়ে সরকারের কার্যকরী পদক্ষেপ আছে বলে মনে হয় না। সরকার ব্যবসায়ীদের নানা সুযোগ-সুবিধা বিভিন্নভাবে দিয়ে গেলেও তার সুফল জনগণ পাচ্ছে না।’

 

ইসলামী মুক্তিযোদ্ধা প্রজন্ম পরিষদ সভাপতি বলেন, ‘সরকার যতই উন্নয়নের কথা বলুক সাধারণ মানুষের দৈনন্দিন জীবনযাত্রা যদি সহজ, সাবলীল ও আয়ত্তের মধ্যে না তবে উন্নয়ন অর্থহীন। তাই মূল্যস্ফীতি কমিয়ে আনতে হবে।

ব্যবসায়ীদের খামখেয়ালির কারণে সাধারণ মানুষের জীবন বিপর্যস্ত। মেহনতি শ্রমজীবী মানুষের ঘরে ঘরে হাহাকার। প্রতিটি ভোগ্যপণ্যের দাম মানুষের ক্রয়ক্ষমতার বাইরে। যাদের কিছু সঞ্চয় আছে তা-ও তারা ভেঙে ফেলছে। এ অবস্থায় চলতে থাকলে ভবিষ্যতে পরিস্থিতি আরো ভয়াবহ হতে পারে।

কোনো কোনো পণ্যের সরবরাহ বাজারে প্রচুর দেখা গেলেও দাম কমছে না।’