‘জুলাই গণঅভ্যুত্থানের ঘোষণাপত্র’ তৈরি করবে সরকার
জাতীয় ঐকমত্যের ভিত্তিতে জুলাই গণঅভ্যুত্থানের একটি ঘোষণাপত্র তৈরির উদ্যোগ গ্রহণ করেছে অন্তর্বর্তী সরকার।

সোমবার রাতে প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনার সামনে এক জরুরি সংবাদ ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম।
তিনি বলেন, জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে গড়ে ওঠা জনগণের ঐক্য, ফ্যাসিবাদবিরোধী চেতনা ও রাষ্ট্র সংস্কারের আকাঙ্ক্ষাকে সুসংহত রাখার জন্য এ ঘোষণাপত্রটি গৃহীত হবে।
এদিকে সোমবার রাতে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে পাঠানো এক বার্তায় জানানো হয়, গণ-অভ্যুত্থানে নেতৃত্ব দেওয়া বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনসহ অংশগ্রহণকারী সকল শিক্ষার্থী, রাজনৈতিক দল ও পক্ষের মতামতের ভিত্তিতে ঘোষণাপত্রটি প্রস্তুত করা হবে। এতে জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের পরিপ্রেক্ষিত, ঐক্যের ভিত্তি ও জনগণের অভিপ্রায় ব্যক্ত হবে।
সকলের অংশগ্রহণের মাধ্যমে কিছুদিনের মধ্যেই সর্বসম্মতিক্রমে এ ঘোষণাপত্র প্রস্তুত হবে এবং জাতির সামনে উপস্থাপন করা সম্ভব হবে বলে আশা প্রকাশ করে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং।
এরআগে রবিবার সকালে এক সংবাদ সম্মেলনে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতারা জানান, মঙ্গলবার (৩১ ডিসেম্বর) কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে জুলাই বিপ্লবের ঘোষণাপত্র প্রকাশ করা হবে।
সমন্বয়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ বলেন, ৩১ ডিসেম্বর ‘জুলাই ঘোষণাপত্রে’র মাধ্যমে ‘নাৎসি বাহিনী’র মতো সংগঠন হিসেবে আওয়ামী লীগকে অপ্রাসঙ্গিক ঘোষণা করা হবে। একইসঙ্গে ১৯৭২ সালের ‘মুজিববাদী’ সংবিধানের কবর রচনা করা হবে।
বিষয়টি নিয়ে শনিবার সন্ধ্যার পর ফেসবুকে পোস্ট দিচ্ছিলেন সমন্বয়ক ও নাগরিক কমিটির সদস্যরা।