যেসব উপায়ে ঘর রাখতে পারেন মশামুক্ত
দেশে বেড়েছে ডেঙ্গুর প্রকোপ। এবার ডেঙ্গু গত বছরের চেয়েও প্রকট। প্রতিদিন ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হচ্ছে, হাসপাতালেও রোগীদের ভিড়। তাই এই সময়ে ডেঙ্গু থেকে বাঁচতে ঘরকে মশাবিহীন রাখার কোনো বিকল্প নেই। মশা মারার স্প্রে কিংবা ওষুধ ক্ষণিকের জন্য কাজ করলেও সময় না পেরোতেই মশা আবারও ফিরে আসে। সাধারণ কিছু কৌশল অবলম্বন করলে ঘরকে সহজেই মশামুক্ত রাখা সম্ভব:

# ভোর ও সন্ধ্যায় দরজা-জানালা বন্ধ রাখা
সন্ধ্যার সময় মশারা ঝাঁকে ঝাঁকে ঘরে ঢোকে। ভোরের আলো ফোটার সময়ও মশার উপদ্রব বেড়ে যায়। তাই এই দুই সময়ে ঘরের দরজা-জানালা না খোলাই ভালো।
# জানালা-বারান্দায় নেট বসানো
মশার উপদ্রব থেকে বাঁচতে ভোরে আর সন্ধ্যায় না হয় দরজা-জানালা বন্ধ রাখা গেল, সারাদিন তো আর সেটা সম্ভব না। কারণ এতে ঘরে আলো-বাতাস প্রবেশই বন্ধ হয়ে যাবে। তাই জানালা ও বারান্দায় সূক্ষ্ম ছিদ্রওয়ালা নেট লাগাতে হবে। এতে যেমন মশার উপদ্রব থেকে মুক্তি মিলবে, তেমনি ঘরে আলো-বাতাসের চলাচলও থাকবে স্বাভাবিক।
# লিফট-সিঁড়ি রাখুন মশামুক্ত
বহুতল ভবনের উঁচুতলায় বসবাস করলেও মশার কামড় থেকে রেহাই মেলে না। কারণ আপনার সঙ্গে লিফটে চড়ে মশা ঠিকই ঘরে চলে আসে। তাই নিজের ঘরকে মশাবিহীন রাখতে চাইলে নির্দিষ্ট সময় পরপর লিফটে মশা তাড়ানোর স্প্রে করতে হবে। পাশাপাশি সিঁড়িও রাখতে হবে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন।
# কর্পূর ব্যবহার
ঘর প্রাকৃতিক উপায়ে মশামুক্ত রাখতে কর্পূর বেশ সহায়ক। সকালে ও সন্ধ্যায় ঘরের আনাচে-কানাচে কর্পূরের ধোঁয়া ছড়িয়ে দিলে মশা দূর হয়ে যাবে। কর্পূরের ট্যাবলেট ঘরের কোণে রেখে দিলেও মশা দূর হবে।
# মশারোধী গাছ লাগানো
রিডার্স ডাইজেস্টে প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, কিছু গাছ ঘরে রাখলে মশার উপদ্রব কমে। ঘরের আঙিনায় বা ঘরের ভেতর তুলসী, পুদিনা, ল্যাভেন্ডার, গাঁদা গাছ রাখলে মশার উপদ্রব কমবে।
এছাড়া, ত্বকে অডোমস বা মশারোধী লোশন ব্যবহার করে, হালকা রঙের পোশাক পরে ও রাতে ঘুমানোর সময় মশারি লাগিয়ে মশার কামড় থেকে মুক্তি মিলবে।