যশোরে যুবলীগ নেতাকে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগ
যশোরের ঝিকরগাছায় কামরুজ্জামান (৫৫) নামে যুবলীগের এক নেতাকে কুপিয়ে হত্যা করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় আরও দুজন গুরুতর আহত হয়েছেন। গতকাল বৃহস্পতিবার (৭ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় উপজেলার শংকরপুর ইউনিয়নের ছোট্ট পোদালিয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

নিহত কামরুজ্জামান উপজেলার ছোট্ট পোদালিয়া গ্রামের নুরুল হক সরদারের ছেলে। তিনি শংকরপুর ইউনিয়ন যুবলীগের সদস্য ছিলেন।
আহতরা হলেন- ছোট্ট পোদালিয়া গ্রামের রুহুল আমীন সরদারের স্ত্রী আনোয়ারা বেগম (৫০) এবং তাদের ছেলে আতাউর রহমান সরদার।
পুলিশ জানায়, উপজেলার শংকরপুর ইউনিয়নের ছোট্ট পোদালিয়া গ্রামের বাসিন্দা উসমান আলী ও হোসেন আলীদের সঙ্গে জমিজমা নিয়ে নিহত কামরুজ্জামানের পরিবারের দীর্ঘদিন ধরে দ্বন্দ্ব চলছিল। বৃহস্পতিবার বিকেলে বিরোধপূর্ণ জমিতে উসমান আলী পক্ষের লোকজন সীমানাপ্রাচীর নির্মাণের চেষ্টা করলে কামরুজ্জামান বাধা দেন।
এ সময় কামরুজ্জামানের সঙ্গে উসমান আলীদের কথা-কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে উসমান আলী ও হোসেন আলী বাড়ি থেকে হাঁসুয়া এনে কামরুজ্জামানকে এলোপাতাড়ি কোপাতে শুরু করেন। এ সময় প্রতিবেশী আতাউর রহমান ও আনোয়ারা বেগম এগিয়ে গেলে তাদেরও কোপানো হয়।
স্থানীয় লোকজন তাদের তিনজনকে উদ্ধার করে যশোর জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে জরুরি বিভাগের চিকিৎসক কামরুজ্জামানকে মৃত ঘোষণা করেন। পরে পুলিশ হাসপাতাল থেকে মরদেহ উদ্ধার করে মর্গে পাঠায়।
যশোর জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) পার্থ প্রতীম চক্রবর্তী বলেন, হাসপাতালে আনার আগেই একজনের মৃত্যু হয়। অন্য দুজনকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) বেলাল হোসাইন গণমাধ্যমকে বলেন, জমিজমা নিয়ে চাচাতো ভাইদের মধ্যে বিরোধের জেরে হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে মর্গে পাঠিয়েছে। এ ঘটনায় মামলা দায়ের প্রক্রিয়াধীন।