Search

যশোরে বিএনপির ৪৪ নেতাকর্মী গ্রেপ্তার

২৮ অক্টোবর ঢাকায় বিএনপির মহাসমাবেশকে ঘিরে যশোরে বিনএপির নেতাকর্মীদের ধর-পাকড় শুরু করেছে পুলিশ। বুধবার ও বৃহস্পতিবার (২৬ অক্টোবর) দুই দিনে বিএনপির ৪৪ জন নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে যশোর জেলা বিএনপির পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়েছে। এছাড়াও পুলিশের বিরুদ্ধে যুবদলের তিন নেতার বাড়িতে ভাঙচুরের অভিযোগও রয়েছে। তবে এসব অভিযোগ মিথ্যা বলে দাবি করেছে পুলিশ।


যশোরে বিএনপির ৪৪ নেতাকর্মী গ্রেপ্তার

জেলা বিএনপির শীর্ষ নেতাকর্মীরা জানিয়েছেন, বুধবার মধ্য রাত থেকে যশোর সদর ও বাঘারপাড়া উপজেলায় এই ধর-পাকড় শুরু হয়েছে। এছাড়া বিভিন্ন নেতাকর্মীর বাড়িতে তল্লাশি করছে পুলিশ। বুধবার রাত ও বৃহস্পতিবার দুপুর পর্যন্ত এই দুই উপজেলায় ৪৪ জন নেতাকর্মীকে আটক করেছে পুলিশ।

আটকদের মধ্যে রয়েছেন, যশোর সদরের চাঁচড়া ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আব্দুল ওহাব, নরেন্দ্রপুর ইউনিয়ন বিএনপির সহ সভাপতি জাহাঙ্গীর আলম, স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক নিজামুদ্দিন মোল্লা, লেবুতলা ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সহ সভাপতি নুরুল ইসলাম, এক নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হেলাল শেখ, নরেন্দ্রপুর ইউনিয়ন বিএনপি নেতা আবুল বিশ্বাস, যশোর নগর বিএনপি নেতা কাজী ইসরাফিল, রফিকুল ইসলামসহ আরও অনেকে।

বিএনপির সিনিয়র নেতাদের অভিযোগ, তাদের নেতাকর্মীদের বাড়িতে পুলিশ হামলা ও ভাঙচুর করেছে। জেলা যুবদলের সহ সাধারণ সম্পাদক রাজন হাওলাদার মানিকের বাড়ির প্রধান ফটক ভাঙচুর করা হয়েছে বলে অভিযোগ করা হয়েছে।

বিএনপির খুলনা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক অনিন্দ্য ইসলাম অমিত বলেন, বিএনপির অনেক নেতাকর্মীর নামে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা নেই। অনেকেই জামিনে রয়েছেন। তারপরও তাদের গণগ্রেপ্তার করা হচ্ছে। ঢাকায় আমাদের মহাসমাবেশকে বাধাগ্রস্ত করতে এই গ্রেপ্তার অভিযান চলছে। কিন্তু কোনোমতেই এই মহাসমাবেশ আটকানো যাবে না, মানুষ স্রোতের মতো মহাসমাবেশে যাচ্ছে, যাবে।

যশোর পুলিশের মুখপাত্র ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) বেলাল হোসাইন বলেন, যাদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন মামলা রয়েছে। আদালতে হাজির না হয়ে পালিয়ে বেরাচ্ছে। আদালত থেকে ওয়ারেন্ট হওয়ায় তাদেরকেই আটক করা হচ্ছে। কোনো ভাঙচুর কিংবা অন্যসব অভিযোগ মিথ্যা বলে দাবি করেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার।##