Search

মহানবী (সা.) বিশুদ্ধ মনের মানুষ বলেছেন যাদের

মহান আল্লাহ এই উম্মতকে সব উম্মতের ওপর শ্রেষ্ঠত্ব দান করেছেন, যা তিনি পবিত্র কোরআনেই ইরশাদ করেছেন। সেই হিসাবে শ্রেষ্ঠ নবী মুহাম্মদ (সা.)-এর সব উম্মতই শ্রেষ্ঠ। কিন্তু রাসুল (সা.)-এর হাদিসেও কিছু লোককে শ্রেষ্ঠ মানুষ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। আবদুল্লাহ বিন আমর (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (স.)-কে বলা হলো, কোন ব্যক্তি সর্বোত্তম? তিনি বলেন, ‘প্রত্যেক বিশুদ্ধ অন্তরের অধিকারী সত্যভাষী ব্যক্তি।’ সাহাবিরা বলেন, সত্যভাষীকে তো আমরা চিনি; কিন্তু বিশুদ্ধ অন্তরের ব্যক্তি কে? তিনি বলেন, ‘সে হলো পূত-পবিত্র নিষ্কলুষ চরিত্রের মানুষ, যার কোনো গুনাহ নেই, দুশমনি, হিংসা-বিদ্বেষ, আত্মঅহমিকা ও কপটতা নেই।’ (ইবনে মাজাহ: ৪২১৬)


মহানবী (সা.) বিশুদ্ধ মনের মানুষ বলেছেন যাদের

অধিকার দান করবেন।’ (ইবনে মাজাহ: ৪১৮৬)

তাই সম্মানিত সালফে সালেহিনদের মতো মহান মানুষগুলো সরল জীবনকে বেছে নিয়েছিলেন, ঈর্ষা ও হিংসা থেকে তারা মুক্ত ছিলেন। মানুষকেও সরলতার তাগিদ দিতেন তারা। মূলত সরলতাই বিশুদ্ধতার প্রতীক। সরলতার বিপরীত বিষয় যেমন- হিংসা, লোভ, অহংকার, ঈর্ষা ইত্যাদি মানুষের নেকআমল বরবাদ করে এবং জান্নাতে প্রবেশে বাধা হয়ে দাঁড়ায়।

এজন্যই জাহান্নামের শাস্তির পর জান্নাতে প্রবেশ করানোর আগে পাপী মুমিনদের অন্তরকে বিশুদ্ধ করা হবে। রাসুল (স.) বলেন, ‘মুমিনরা যখন জাহান্নাম থেকে মুক্তি পাবে, তখন জান্নাত ও জাহান্নামের মাঝখানে এক পুলের ওপর তাদের আটকে রাখা হবে। তখন পৃথিবীতে একের প্রতি অন্যের যা যা জুলুম ছিল, তার প্রতিশোধ গ্রহণের পরে যখন তারা পরিচ্ছন্ন হয়ে যাবে, তখন তাদের জান্নাতে প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হবে। সেই সত্তার কসম, যাঁর হাতে মুহাম্মদের প্রাণ, নিশ্চয়ই তাদের প্রত্যেকে পৃথিবীতে তার আবাসস্থল যেরূপ চিনত, তার চেয়ে বেশি তার জান্নাতের আবাসস্থল চিনতে পারবে।’ (বুখারি: ২৪৪০)

আল্লাহ তাআলা আমাদের সবাইকে অন্তরের ব্যাধি থেকে মুক্ত হওয়ার তাওফিক দান করুন। সহজ-সরল জীবন যাপনের তাওফিক দান করুন। অন্তরকে পরিশুদ্ধ করার তাওফিক দান করুন।

আমিন