Search

ভোট পরবর্তী সহিংসতা না করতে এমপির মাইকিং

নির্বাচনে পাস করার পর কোনো ধরনের সহিংসতা না করতে মাইকিং করেছেন যশোর-২ (ঝিকরগাছা-চৌগাছা) আসনের নবনির্বাচিত সংসদ সদস্য ডা. তৌহিদুজ্জামান তুহিন। শুক্রবার (১২ জানুয়ারি) দিনব্যাপী ঝিকরগাছা উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে নির্বাচন পরবর্তী সহিংসতা এড়াতে নেতাকর্মীদের সতকীকরণ বার্তা দিয়ে এ প্রচারণা চালানো হয়। এর আগে বুধবার ও বৃহস্পতিবার দিনভর ঝিকরগাছার বিভিন্ন স্থানে এ মাইকিং শুনতে পাওয়া গেছে। এমন ঘটনায় এলাকাবাসী স্বস্তির নিশ্বাস ফেলেছেন। এমন ঘটনায় নবনির্বাচিত সংসদ সদস্যের প্রশংসা করছেন নেটিজেনরা।


ভোট পরবর্তী সহিংসতা না করতে এমপির মাইকিং

পৌরসভার কীর্তিপুর গ্রামের প্রবীণ আওয়ামী লীগ নেতা আনোয়ার হোসেন বলেন, ১৯৭০ সাল থেকে বাংলাদেশের নির্বাচন দেখে আসছি। ঝিকরগাছায় এ প্রথম দেখলাম কোনো সংসদ সদস্য ভোটের পরে মারামারি না করতে মাইকিং করছে। আমরা এমন এমপি পেয়ে ধন্য।

মাইকিংয়ে বলা হচ্ছে, ‘প্রিয় চৌগাছা-ঝিকরগাছা উপজেলাবাসী, আপনারা আমাকে ভোট দিয়ে নির্বাচিত করেছেন। দয়া করে নির্বাচন পরবর্তী কোনো ধরনের সহিংসতা কার্যক্রমে জড়াবেন না। আমরা শান্তি ও স্বস্তিতে বিশ্বাসী। যদি কেউ কোনো ধরনের সহিংসতায় জড়ান তাহলে, তার দায় তাকেই বহন করতে হবে।’

উপজেলা যুবলীগ নেতা ও জেলা পরিষদ সদস্য রফিকুল ইসলাম বাপ্পী জানান, দুই উপজেলার ২২টি ইউনিয়ন ও ২টি পৌরসভায় একযোগে সহিংসতা এড়াতে মাইকিং করা হচ্ছে। তিন দিন এ মাইকিং চালানো হয়েছে। নবনির্বাচিত এমপি একজন সৎ ও ভালো মানুষ, তিনি কোনো ধরনের অপকর্ম প্রশ্রয় দেবেন না।

দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে ঝিকরগাছার নৌকা প্রতীকের প্রধান নির্বাচনী এজেন্ট ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি চৌধুরী রমজান শরীফ বাদশা বলেন, ডা. তৌহিদুজ্জামান তুহিনের নির্দেশেই সহিংসতা এড়াতে মাইকিং করা হচ্ছে। আমরা মারামারি-হানাহানিতে বিশ্বাসী নই। যারা এসব কাজে লিপ্ত হবে তাদের কঠোর হস্তে দমন করা হবে। অন্যায়কারীকে কোনো ছাড় দেওয়া হবে না।

উল্লেখ্য, নির্বাচনকে কেন্দ্র করে ঝিকরগাছা উপজেলার শিমুলিয়া, আন্দোলপোতা, বারবাকপুর ও বাঁকড়ায় বাড়িতে হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। এর আগে নির্বাচনের দিন শিমুলিয়ার আন্দোলপোতা গ্রামের নৌকা মার্কার কর্মী দুই যুবককে ছুরিকাঘাত করা হয়।