ভবদহ স্লুইসগেট পরিদর্শন শেষে ভবদহ মহাবিদ্যালয় প্রাঙ্গণে আয়োজিত এক মতবিনিময় সভায় সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি বলেন, “সরকারি বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের সমন্বিত উদ্যোগে ভবদহ অঞ্চলের ক্ষতিগ্রস্ত ২০ হাজার হেক্টর জমির মধ্যে ১৭ হাজার হেক্টরের পানি নিষ্কাশন সম্ভব হয়েছে। যার ফলে এ বছর ঐসব জমিতে ধান চাষ করা সম্ভব হয়েছে।”

তিনি অতীত প্রশাসনের সমালোচনা করে বলেন, “পূর্বে দায়িত্বে থাকা ব্যক্তিরা যথাযথ সদিচ্ছা দেখাননি। বর্তমান সরকার জনগণ ও বিশেষজ্ঞদের মতামত নিয়ে সমস্যার সমাধানে এগোচ্ছে।” তিনি আরও জানান, আমডাঙ্গা খাল, হরিভদ্রা ও আপার ভদ্রা খননের কাজ সেনাবাহিনীর মাধ্যমে বাস্তবায়ন করা হবে।

রিজওয়ানা হাসান বলেন, “ভবদহের জলাবদ্ধতা কেবল একটি স্থানীয় সমস্যা নয়, বরং এটি একটি জাতীয় দুর্যোগ। এখানকার জনগণের কষ্ট আমরা উপলব্ধি করি। তাই সমস্যা সমাধানে সকলে মিলে কাজ করতে হবে।”

কৃষকদের বিদ্যুৎ বিল নিয়ে তিনি বলেন, “বাণিজ্যিক হারে বিদ্যুৎ বিল পরিশোধের সমস্যা সমাধানে বিদ্যুৎ মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। এছাড়া এই অঞ্চলে ক্ষুদ্র ঋণের কিস্তি আদায় সাময়িকভাবে বন্ধ রাখা হয়েছে।”

হরি নদীর চারপাশে গড়ে ওঠা অবৈধ ইটভাটার বিষয়ে তিনি বলেন, “এই ইটভাটাগুলো সরকারের নয়। অনিয়ম ও দুর্নীতির তদন্ত শুরু হয়েছে এবং একটি কমিটি ইতোমধ্যে কাজ শুরু করেছে।”

তিনি আশা প্রকাশ করে বলেন, “বর্তমান সরকারের মেয়াদেই ভবদহের জলাবদ্ধতা সমস্যার স্থায়ী সমাধান শুরু হবে।”

মতবিনিময় সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফারুক-ই-আজম, স্বরাষ্ট্র ও কৃষি মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী, যশোর জেলা প্রশাসক আজাহারুল ইসলাম, পুলিশ সুপার রনওক জাহান এবং ভবদহ আন্দোলন সংগ্রাম কমিটির আহ্বায়ক ইকবাল কবীর জাহিদসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা।

সভা শেষে উপদেষ্টারা কৃষিজমি পরিদর্শন করেন এবং স্থানীয় জনগণের সঙ্গে সরাসরি মতবিনিময় করেন।