Search

বায়ুদূষণের প্রভাবে দেশের মানুষের গড় আয়ু ৫ বছর হ্রাস পেয়েছে: গবেষণা

বায়ুদূষণে বাংলাদেশের মানুষের গড় আয়ু পাঁচ বছর কমেছে বলে এক গবষেণায় উঠে এসেছে।


বায়ুদূষণের প্রভাবে দেশের মানুষের গড় আয়ু ৫ বছর হ্রাস পেয়েছে: গবেষণা

শিকাগো বিশ্ববিদ্যালয়ের বৈশ্বিক বায়ুদূষণ পর্যবেক্ষণ সংস্থা অ্যানার্জি পলিসি ইনস্টিটিউট ‘এয়ার কোয়ালিটি লাইফ ইনডেক্স’ শীর্ষক প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসছে। বুধবার প্রতিবেদনটি প্রকাশিত হয়েছে।

প্রতিবেদনে ২০২২ সালের তথ্য-উপাত্ত বিশ্লেষণ করা হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, বায়ুদূষণের পাশাপাশি দেশে শিশুর পুষ্টিহীনতার কারণে দেড় বছর এবং তামাক সেবনে দুই বছর করে গড় আয়ু কমেছে।

বাংলাদেশের বাতাসে প্রতি ঘনমিটারে ৫৪ মাইক্রোগ্রাম ক্ষতিকর বস্তুকণা পিএম-২.৫ পাওয়া গেছে, যা বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নির্ধারিত মাত্রার চেয়ে ১২ গুণ বেশি। দেশের পরিবেশ অধিদপ্তর বাতাসে পিএম-২.৫-এর গ্রহণযোগ্য মাত্রা নির্ধারণ করেছে প্রতি ঘনমিটারে ৩৫ মাইক্রোগ্রাম।

প্রতিবেদনে উল্লেখিত গাজীপুর ও নরসিংদী সবচেয়ে বেশি দূষিত জেলা, যেখানে গড় আয়ু কমেছে ৬ বছর।

এদিকে রাজধানীতে পিএম-২.৫-এর ৬১ দশমিক ৭ শতাংশ উপস্থিতির কারণে গড় আয়ু কমেছে ৫ দশমিক ৬ বছর।

শরীয়তপুর, মাদারীপুর, গোপালগঞ্জ, চাঁদপুরে ২০২১ সালের তুলনায় বায়ুদূষণ কমেছে ২০ শতাংশ।

বাংলাদেশের ৯৬ দশমিক ৮ শতাংশ মানুষ বছরজুড়ে দূষিত বায়ুর মধ্যে বসবাস করছে। সবচেয়ে কম দূষিত সিলেট শহরও বৈশ্বিক মাত্রার চেয়ে ৭ গুণ বেশি দূষিত।

দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোতে বায়ুদূষণ কমার কথা উল্লেখ থাকলেও তার কারণ স্পষ্ট নয়। ২০২২ সালের লা লিনার জন্য বেশি বৃষ্টিপাত বায়ুদূষণ কমার কারণ হতে পারে বলে উল্লেখ করা হয়েছে প্রতিবেদনে।

পরিবেশ অধিদপ্তরের বায়ুমান শাখার পরিচালক জিয়াউল হক বলেন, “বিশ্বব্যাংকের কারিগরি সহায়তায় একটা জাতীয় বায়ুমান ব্যবস্থাপনা পরিকল্পনার খসড়া চূড়ান্ত হয়েছে, যা দিয়ে বায়ুদূষণের সব উৎসকে পর্যবেক্ষণে নিয়ে আসার চেষ্টা করব।”

তিনি বলেন, “ইটভাটা বায়ুদূষণের একটা অন্যতম উৎস। এগুলো বন্ধ করে ব্লক ইট উৎপাদন ও ব্যবহার বাধ্যতামূলক করার প্রস্তাব দিয়েছি। পাশাপাশি পুরোনো যানবাহন ও রান্নায় লাকড়ির ব্যবহার কমাতে একটি ক্লিন কুকিং প্রজেক্ট গ্রহণ করা হবে।

গত বছর একই প্রতিষ্ঠানের গবেষণায় জানা গিয়েছিল, দেশে বায়ুদূষণের কারণে গড় আয়ু কমেছে প্রায় সাত বছর।