উপদেষ্টা বলেন, কোনো সরকার একা একা ফ্যাসিস্ট হয় না। তারা (সরকার) বিচার বিভাগ, পুলিশ, প্রশাসন, গণমাধ্যম ও বুদ্ধিজীবীদেরও সঙ্গে নেয়।

শনিবার রাজধানীর নিউ ইস্কাটন রোডে সেন্টার ফর গভর্নমেন্ট স্টাডিজের (সিজিএস) উদ্যোগে আয়োজিত ‘দুঃসময়ের কণ্ঠস্বর: তাদের স্বপ্ন ও বাস্তবতা’ শীর্ষক এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেন, ‘দীর্ঘদিন ফ্যাসিজমের আবহে থেকে আমরা কি চিন্তাচেতনায় যথেষ্ট মুক্ত স্বাধীন? এই জায়গাটা বড় চিন্তার। সংস্কার করা নিয়মে ও কাগজে সম্ভব। এখনো যে আইনকানুন বাংলাদেশে আছে, সেগুলো যদি জনস্বার্থে মানা হতো, প্রয়োগ হতো, তাহলে এই অসহায়ত্বের মধ্যে পড়তে হতো না।’

সৈয়দা রিজওয়ানা আরও বলেন, ‘আমাদের সবার স্বপ্ন একই। সেই স্বপ্ন বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে দেড় মাস যথেষ্ট, না দেড় বছর যথেষ্ট, নাকি দেড় যুগ যথেষ্ট; তা নির্ভর করবে মানুষ তার স্বপ্ন কতটা সূক্ষ্মভাবে বাস্তবায়ন করতে চায়।’

আদর্শিক পরিবর্তনের গুরুত্ব তুলে ধরে উপদেষ্টা বলেন, ‘অনেক দিন দলীয় শাসন, অপশাসন ও ফ্যাসিজমের মধ্যে থেকে কিছু বিষয় সমাজের নীতি হিসেবে প্রতিষ্ঠা পেয়ে গেছে। সেখান থেকে বের হয়ে আসতে হবে। একটি আদর্শ রাষ্ট্রের জন্য যাত্রা শুরু করতে হবে। তা এক বছর, দুবছর বা ছয় মাসের বিষয় নয়। কিন্তু যাত্রা যেন দৃঢ়ভাবে শুরু হয়।’

‘এখন যেহেতু কথা বলতে পারছি। যত সমালোচনা করা দরকার, হোক। কিন্তু গঠনমূলক যেন হয়’ বলেন রিজওয়ানা হাসান।