Search

চিকিৎসা বঞ্চিত হচ্ছে ৯২ শতাংশ বয়স্ক মানসিক রোগী

মানসিক রোগীদের মধ্যে ৯২ শতাংশ প্রাপ্ত বয়স্ক এবং ৯৪.৩ শতাংশ শিশু-কিশোর চিকিৎসার আওতায় আসছেন না। মানসিক রোগ সম্পর্কে জ্ঞানের অভাব, সচেতনতার অভাব, ভ্রান্ত ধারণা ও সঠিক রেফারেল সিস্টেমের অভাবে বড় অঙ্কের এসব মানসিক রোগী প্রথম অবস্থায় মনোরোগের চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন না।


চিকিৎসা বঞ্চিত হচ্ছে ৯২ শতাংশ বয়স্ক মানসিক রোগী

সোমবার (৪ সেপ্টেম্বর) বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) ‘এন্ট্রি টিকিটস ফর সাইক্রায়াট্রি ওপিডি : রিস্ক অব মিসগাইড’ শীর্ষক এক বৈজ্ঞানিক সেমিনারে উপস্থাপিত মূল প্রবন্ধে এ তথ্য জানানো হয়।

সেমিনারে প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন মনোরোগ বিদ্যা বিভাগের ফেজ বি রেসিডেন্ট ডা. নাহিদ আফসানা জামান। সেমিনারে বলা হয়, মানসিক রোগীদের চিকিৎসায় আমাদের বিস্তর ফারাক রয়েছে। যেসব মানসিক রোগীর চিকিৎসা প্রয়োজন এবং যারা  চিকিৎসা পাছে বা নিচ্ছে, এর মধ্যেও ব্যবধান রয়েছে। এমনকি হাসপাতালের বহির্বিভাগে এ  ধরনের রোগীর জন্য সঠিক নির্দেশিকা না থাকায় পর্যাপ্তভাবে এ রোগ চিহ্নিত হয় না। ফলে তারা এক বিভাগ থেকে অন্য বিভাগে ঘুরতে থাকে।

প্রবন্ধে বলা হয়, মানসিক রোগের ক্ষেত্রে চিকিৎসা শুরু হতেই গড় বিলম্ব হয় ২৪ থেকে ৩৬ মাস। গড় বিলম্বজনিত কারণে মানসিক রোগ চরমমাত্রা ধারণ করতে পারে এবং রোগীরা ভোগান্তির শিকার হয়। 

সেমিনারে কিছু পদক্ষেপ গ্রহণ করা ও প্রস্তাবনা উত্থাপিত হয়। তার মধ্যে বহির্বিভাগে মানসিক স্বাস্থ্যের প্রাথমিক লক্ষ্মণ সম্বলিত ব্যানার স্থাপন, টিকিট বণ্টনকর্মীদের সঙ্গে আলোচনা এবং প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। পরে চিকিৎসকদের মাধ্যমে পেশেন্ট শর্টিং রুম বা স্ক্রিনিং কর্নার চালু করার প্রস্তাব উত্থাপিত হয়।

সেমিনারে প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন মনোরোগ বিদ্যা বিভাগের ফেজ বি রেসিডেন্ট ডা. নাহিদ আফসানা জামান। সেমিনারে বলা হয়, মানসিক রোগীদের চিকিৎসায় আমাদের বিস্তর ফারাক রয়েছে। যেসব মানসিক রোগীর চিকিৎসা প্রয়োজন এবং যারা  চিকিৎসা পাছে বা নিচ্ছে, এর মধ্যেও ব্যবধান রয়েছে। এমনকি হাসপাতালের বহির্বিভাগে এ  ধরনের রোগীর জন্য সঠিক নির্দেশিকা না থাকায় পর্যাপ্তভাবে এ রোগ চিহ্নিত হয় না। ফলে তারা এক বিভাগ থেকে অন্য বিভাগে ঘুরতে থাকে।

প্রবন্ধে বলা হয়, মানসিক রোগের ক্ষেত্রে চিকিৎসা শুরু হতেই গড় বিলম্ব হয় ২৪ থেকে ৩৬ মাস। গড় বিলম্বজনিত কারণে মানসিক রোগ চরমমাত্রা ধারণ করতে পারে এবং রোগীরা ভোগান্তির শিকার হয়। 

সেমিনারে কিছু পদক্ষেপ গ্রহণ করা ও প্রস্তাবনা উত্থাপিত হয়। তার মধ্যে বহির্বিভাগে মানসিক স্বাস্থ্যের প্রাথমিক লক্ষ্মণ সম্বলিত ব্যানার স্থাপন, টিকিট বণ্টনকর্মীদের সঙ্গে আলোচনা এবং প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। পরে চিকিৎসকদের মাধ্যমে পেশেন্ট শর্টিং রুম বা স্ক্রিনিং কর্নার চালু করার প্রস্তাব উত্থাপিত হয়।

সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ বলেন, যারা টিকিট বিতরণের দায়িত্বে থাকেন তাদের আরও বেশি মনোযোগী হতে হবে। রোগীরা অধিকাংশ রোগের কথা ও কোন বিভাগে চিকিৎসা করাবেন তা বলতে পারেন না। মনোরোগ বিদ্যা বিভাগের নামটি হয়ত তারা জানেন না। মনোরোগ বিদ্যা বিভাগের ফেজ ‘এ’ ও ফেজ ‘বি’ রেসিডেন্টদের প্রতিটি ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে গিয়ে এ ধরনের রোগী শনাক্তকরণ করার জন্য যেতে হবে। এছাড়া যেসব রোগীদের বিভিন্ন পরীক্ষা নিরীক্ষা কিছু না পাওয়া গেলে, তাদের মনোরোগ বিদ্যা বিভাগে রেফার্ড দিতে হবে।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন মনোরোগ বিদ্যা বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. নাহিদ মাহজাবিন মোরশেদ। সেমিনারে ইউজিসি অধ্যাপক ডা. সজলকৃষ্ণ ব্যানার্জী, বিএসএমএমইউর মেডিসিন অনুষদের ডিন অধ্যাপক ডা. মাসুদা বেগম,  বিএসএমএমইউর মনোরোগ বিদ্যা বিভাগের  অধ্যাপক ডা. এমএম এ সালাহ্উদ্দিন কাউসার, অধ্যাপক ডা. সুলতানা আলগিন ও পরিচালক (হাসপাতাল) ব্রি. জে. ডা. রেজার  রহমান উপস্থিত ছিলেন।

সেমিনারটি সঞ্চালনা করেন মনোরোগ বিদ্যা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ( ক্লিনিক্যাল সাইকোলজি)  সেলিনা ফাতেমা বিনতে শহীদ।