পৌরসভার মধ্যকুল খানপাড়া, আলতাপোল মীরপাড়া, বালিয়াডাঙ্গা মোড়লপাড়া, কেশবপুর সাহাপাড়া ও সদর ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকায় পানি ঢুকে পড়েছে। অতিরিক্ত বৃষ্টি ও নদের উপচে পড়া পানির কারণে এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। 
সরেজমিন মধ্যকুল এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, বাড়িঘরে পানি উঠে আসায় খানপাড়ার সেলিম খান বাড়ির মালামাল নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিচ্ছেন। তিনি বলেন, হরিহর নদের উপচে পড়া ও টানি বৃষ্টির কারণে পানি তাদের বাড়িঘরে ঢুকে পড়েছে। যে কারণে বাড়ির মালামাল অন্যত্র সরিয়ে নিতে হচ্ছে। আলতাপোল এলাকার শেখ শাহীন বলেন, তার বাড়ির উঠানেও এখন হাটু পানি। পানির মধ্য দিয়েই তাদের যাতায়াত করতে হচ্ছে। পৌরসভার ৮ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর আব্দুল হালিম বলেন, তার ওয়ার্ডের বালিয়াডাঙ্গা মোড়লপাড়া এলাকার মানুষের বাড়িতে পানি উঠে এসেছে। পানিবন্দি মানুষের তালিকা করা হচ্ছে।
পৌরসভার নির্বাহী কর্মকর্তা মোশাররফ হোসেন বলেন, টানা বৃষ্টি ও হরিহর নদের উপচে পড়া পানিতে পৌরসভার মধ্যকুল খানপাড়া, আলতাপোল মীরপাড়া, বালিয়াডাঙ্গা মোড়লপাড়া ও কেশবপুর সাহাপাড়া এলাকা জলাবদ্ধ হয়ে পড়েছে। পৌরসভার পক্ষ থেকে পানিবন্দি পরিবারের সংখ্যা নিরূপণের কাজ শুরু করা হয়েছে।
অন্যদিকে কেশবপুর সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আলাউদ্দীন বলেন, তার ইউনিয়নের ব্যাসডাঙ্গা, মধ্যকুল, নতুন মূলগ্রামসহ বিভিন্ন এলাকায়ও পানি ঢুকে পড়েছে।
এ ব্যাপারে পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপবিভাগীয় প্রকৌশলী সুমন সিকদার বলেন, হরিহর নদে এখনো বিপদসীমার নিচ দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে। তবে আপার ভদ্রা নদী পলি পড়ে ভরাট হওয়ার কারণে হরিহরের পানি নিষ্কাশনে বাঁধা পেয়ে নদ তীরবর্তী কিছু নিচু অঞ্চলে ঢুকে গিয়ে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। দ্রুত পানি নেমে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।