Search

কেশবপুরে দ্বিতল ছাদ বিশিষ্ট ঈদগাহে সর্ববৃহৎ ঈদুল আজহার জামায়াত

ইসরাফিল হোসেন: প্রবৃত্তির দাসত্ব, লোভ-লালসা, হিংসা-বিদ্বেষসহ মনের পশুত্বকে পরাভূত করার শিক্ষা নিয়ে আবারও এসেছে কোরবানির ঈদ। মহান আত্মত্যাগ, আত্মসমর্পণ এবং নিজেকে উৎসর্গ করার মহিমায় উদ্ভাসিত মুসলিম উম্মাহর বৃহৎ ধর্মীয় উৎসব ঈদুল আযহা আজ।  মুসলমান ধর্মাবলম্বীদের বৃহত্তম ধর্মীয় উৎসব পবিত্র ঈদুল ফিতর। ১৭ জুন (সোমবার) যথাযোগ্য মর্যাদা, ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্য ও আনন্দ-উচ্ছ্বাসের মধ্যদিয়ে সারাদেশের ন্যায় যশোরের কেশবপুরে পবিত্র 'ঈদুল আযহা' উদযাপিত হয়েছে।


কেশবপুরে দ্বিতল ছাদ বিশিষ্ট ঈদগাহে সর্ববৃহৎ ঈদুল আজহার জামায়াত

মহান আল্লাহর অপার অনুগ্রহ লাভের আশায় ঈদের জামাত শেষে ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা সামর্থ অনুয়ায়ী পশু কুরবানি করবেন।
নামাজ শেষে মুসল্লিদের অনেকেই যাবেন কবরস্থানে। চির বিদায় নেয়া স্বজনদের কবরের পাশে দাঁড়িয়ে অশ্রুসজল চোখে এই আনন্দের দিনে তাদের রুহের মাগফিরাত কামনা করে আল্লাহর দরবারে আকুতি জানাবেন।

এবারও কেশবপুরের কলাগাছিতে দ্বিতল ছাদ বিশিষ্ট ঈদগাহে সকাল ৮টায় ঈদুল আযহার নামাজ অনুষ্ঠিত হয়েছে। 
নামাজে ইমামতি করেন হাফেজ মাওলানা আব্দুর রশিদ। 
এর আগে অধ্যাপক মোক্তার আলীর সভাপতিত্বে এক আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়। স্থানীয়রা জানান, হাজারো মুসল্লিদের উপস্থিতিতে এ অঞ্চলের ভেতর সুফলাকাটি ইউনিয়নের কলাগাছিতে সর্ববৃহৎ ঈদের জামায়াত হয়ে থাকে।

উল্লেখ্য, প্রায় চার হাজার বছর আগে আল্লাহ পাকের সন্তুষ্টি লাভের জন্য হজরত ইব্রাহিম (আ.) নিজ পুত্র হজরত ইসমাইল (আ.)’কে কোরবানি করার উদ্যোগ নিয়েছিলেন। কিন্তু পরম করুণাময়ের অপার কুদরতে হজরত ইসমাইল (আ.)-এর পরিবর্তে একটি দুম্বা কোরবানি হয়ে যায়। হজরত ইব্রাহিম (আ.)-এর ত্যাগের মহিমার কথা স্মরণ করে বিশ্বব্যাপি মুসলিম সম্প্রদায় জিলহজ মাসের ১০ তারিখে আল্লাহ পাকের অনুগ্রহ লাভের আশায় পশু কোরবানি করে থাকে।
আর্থিকভাবে সামর্থ্যবান মুসলিমের জন্য আল্লাহ কোরবানি ফরজ করে দিয়েছেন। এ জন্য ধর্মীয় দৃষ্টিকোণ থেকে কোরবানি করাই এ দিনের উত্তম ইবাদত। সেই ত্যাগ ও আনুগত্যের আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে সারাদেশের মুসলিম সম্প্রদায়  দিনের শুরুতেই পবিত্র ঈদগাহ ময়দানে ও মসজিদে সমবেত হয়েছে এবং ঈদুল আযহার দু’রাকাত ওয়াজিব নামাজ আদায় করেন এবং নামাজের খুতবায় খতিব তুলে ধরেন কোরবানির তাৎপর্য। 
জিলহজ মাসের ১০ তারিখে ঈদুল আযহা উদযাপিত হলেও পরের দুই দিনও পশু কোরবানি করার বিধান রয়েছে। সামর্থবান মুসলমানদের জন্য কোরবানি ফরজ হলেও ঈদের আনন্দ থেকে দরিদ্র দুঃস্থরাও বঞ্চিত হবেন না। কোরবানির পশুর চামড়া বিক্রির সমুদয় অর্থ এবং কোরবানি দেয়া পশুর মাংসের তিন ভাগের এক ভাগ তাদের মধ্যে বন্টন করে দেয়া হবে।