Search

এআই দিয়ে তৈরি রাজনৈতিক বিজ্ঞাপনের ক্ষেত্রে নতুন নিয়ম আনছে গুগল

কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) ব্যবহার করে সহজেই রাজনৈতিক বিভিন্ন ছবি বা অডিও তৈরি করা যাচ্ছে। এখন থেকে এসব ছবি বা অডিও ব্যবহার করে গুগলের প্ল্যাটফর্মে বিজ্ঞাপন দেওয়ার ক্ষেত্রে কড়াকড়ি নির্দেশনা দিয়েছে গুগল। তাদেরকে স্পষ্ট করে জানাতে হবে এগুলোতে এআই ব্যবহার করা হয়েছে কি না।


এআই দিয়ে তৈরি রাজনৈতিক বিজ্ঞাপনের ক্ষেত্রে নতুন নিয়ম আনছে গুগল

বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মূলত এই নিয়মগুলো তৈরি করা হয়েছে কৃত্রিম কনটেন্ট প্রস্তুতকারী টুলগুলোর ক্রমবর্ধমান প্রভাবের পরিপ্রেক্ষিতে। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ঠিক এক বছর আগে অর্থাৎ আগামী নভেম্বর মাসে এ পরিবর্তনগুলো কার্যকর করা হবে।

আশঙ্কা করা হচ্ছে, নির্বাচনী প্রচারের সময় কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ব্যবহার করে প্রচুর ভুল তথ্য ছড়ানো হবে। গুগলের বিদ্যমান বিজ্ঞাপন নীতি অনুসারে, রাজনীতি, সামাজিক সমস্যা ও জনগণের উদ্বেগের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট বিষয়ে মানুষকে প্রতারিত বা বিভ্রান্ত করার জন্য ডিজিটাল মিডিয়াকে ব্যবহার করা নিষিদ্ধ। তবে নতুন নীতি অনুযায়ী, নির্বাচন সংক্রান্ত বিজ্ঞাপনে বাস্তব বা বাস্তবের মতো মানুষ বা ঘটনা চিত্রিত করে এমন ‘সিনথেটিক কনটেন্ট’ বা ‘কৃত্রিম কনটেন্ট’ থাকলে তা গুগলকে স্পষ্ট করে জানাতে হবে।

এআই দিয়ে তৈরি করা কনটেন্টের ক্ষেত্রে ‘এ ছবি বাস্তব কোনো ঘটনাকে নির্দেশ করে না’ বা ‘এ ভিডিও কৃত্রিমভাবে তৈরি করা হয়েছে’- এমন স্বীকারোক্তি দিতে হবে। গুগলের বিজ্ঞাপন নীতিতে নির্বাচন প্রক্রিয়া নিয়ে অনাস্থা তৈরি হতে পারে এমন দাবিও গুগলে প্রচার করা নিষিদ্ধ।

প্রচারিত রাজনৈতিক বিজ্ঞাপনগুলোতে কারা অর্থায়ন করেছে সেটি গুগলকে প্রকাশ করতে হয়। এ ছাড়া গুগল অনলাইন বিজ্ঞাপন লাইব্রেরির বার্তা থেকেও তথ্য সংগ্রহ করে রাখে। নির্বাচনী বিজ্ঞাপনের ক্ষেত্রে ডিজিটালভাবে পরিবর্তিত কনটেন্টের স্বীকারোক্তি অবশ্যই ‘পরিষ্কার ও সুস্পষ্ট’ হতে হবে এবং এমন অবস্থানে রাখতে হবে যেন সবার নজরে পড়ে।

 

 

চলতি বছরের মার্চ মাসে যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প গ্রেপ্তার হওয়ার একটি কৃত্রিম ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। ছবিটি এআই টুল ব্যবহার করে তৈরি করা হয়েছিল। এ ছাড়া তখন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির রাশিয়ার কাছে আত্মসমর্পণ করার একটি ডিপফেইক ভিডিও বেশ আলোচিত হয়।

গুগল জানিয়েছে, এ ধরনের কৃত্রিম কনটেন্ট শনাক্ত ও সেটি সরানোর প্রযুক্তি নিয়ে কাজ করা হচ্ছে।#