আওয়ামী লীগের তৈরি আইনেই তাদের বিচার করতে হবে: জামায়াত আমির
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমীর ডা. শফিকুর রহমান বলেছেন, "৫ আগস্টে যারা গণহত্যা চালিয়েছে, অগ্রাধিকার ভিত্তিতে তাদের বিচার আগে করতে হবে। তারা বলতেন আইন সবার জন্য সমান। সেই সমান আইনে তাদের (আওয়ামী লীগ) বিচারের অধিকার আছে কি-না? তাদের তৈরি করা কালা-কানুনে দ্রুত তাদের বিচার করতে হবে। তাদের ন্যায্য পাওনা থেকে যেন তাদের বঞ্চিত করা না হয়।"

এতো এতো দল থাকতে জামায়াতে ইসলামীকে কেন টার্গেট করা হয়েছিল- এমন প্রশ্ন রেখে জামায়াতে আমীর বলেন, "তারা জানতো একটি দল দেশের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব ও স্বার্থ কারো কাছে কখনো বিলিয়ে দিতে এবং বিক্রি করতে রাজি হয়নি। কোনো অন্যায়ের কাছে মাথা নত করেনি। অতএব, তাদের মাথাগুলো আগে ধরতে হবে। সেজন্য তারা জামায়াতে ইসলামীর মাথায় হাত দিয়েছিল। বিচারিক হত্যাকাণ্ডের মাধ্যমে শীর্ষ নেতাদের দুনিয়া থেকে বিদায় করেছিল। আজ রাজপথের স্লোগান 'উই ওয়ান্ট জাস্টিস'। জামায়াতে ইসলামীর স্লোগানও এটাই- 'উই ওয়ান্ট জাস্টিস'।"
জামায়াতে ইসলামীর বিরুদ্ধে হাজারো অপতৎপরতা চালানো হয়েছে দাবি করে তিনি বলেন, "এর উদ্দেশ্য ছিল প্রতিবাদী কণ্ঠস্বরকে স্তব্ধ করে দেয়া। অন্যায়ের বিরুদ্ধে কেউ যেন সোচ্চার হতে না পারে। চতুর্দিক থেকে সমস্ত চাপ প্রয়োগ করে জামায়াতকে নড়তে দেয়া হয়নি। মাঠে এক তরফা খেলানো হয়েছে, শাহবাগে আসর বসানো হয়েছে। সেই আসরে আজেবাজে বিশেষ জিনিসও সাপ্লাই করা হয়েছে। আসরের নামে ওদের ডাক দেয়া হয়েছে। সংসদ ভবন থেকে একজন চিৎকার করে বলেছিলেন, আমার দেহটা সংসদে, মনটা পড়ে আছে শাহবাগে। দুঃখজনক হলেও সত্য যে, দুই একজন আলেম নামের কলঙ্ক সেদিনের অপকর্মের অংশীদার হয়েছিলেন। আসলে তারা জ্ঞানী না, জ্ঞানপাপী। জাতি আজকে তাদের শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করে না।"
তিনি আরও বলেন, "২০১৩ সালের ৫ই মে হেফাজতের ওপরে ক্র্যাকডাউন করা হয়েছিল। যা ছিল আরেকটি গণহত্যা। ঠিক কতোজনকে হত্যা করা হয়েছিল, তা আজও জানি না। এবার ৫ই আগস্টের ৪ দিন আগে জামায়াতে ইসলামকে উদ্দেশ্য করে বলা হলো, বেশি বাড়াবাড়ি করলে ২০১৩ সালের ৫ই মে রাতে যা ঘটেছিল, আমরা সে রাতের সাফ করে দিয়েছিলাম, সেরকম সাফ করে দেয়া হবে। সে কথা কিন্তু মিডিয়ার সামনেই বলা হয়েছিল।"
উত্তরের আমীর মোহাম্মদ সেলিম উদ্দিনের সভাপতিত্বে এবং সেক্রেটারি ড.মুহাম্মদ রেজাউল করিমের সঞ্চালনায় সম্মেলনে জামায়াতের নায়েবে আমীর অধ্যাপক মুজিবুর রহমান, সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা রফিকুল ইসলাম খান, মাওলানা আব্দুল হালিম, কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য আব্দুর রব, দক্ষিণের আমীর নুরুল ইসলাম বুলবুল, কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য মুবারক হোসেন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।#