Search

অস্থির বাংলাদেশের পেঁয়াজের বাজার,পাইকারীতেই কেজি প্রতি বেড়েছে ১২ টাকা

বাংলাদেশের অন্যতম নিত্যপণ্য পেঁয়াজের যে চাহিদা তার বড় একটি অংশের যোগান ভারত থেকে আমদানির ওপর নির্ভর করে। কিন্তু প্রতিবেশী দেশটি হঠাৎ করেই পেঁয়াজ রফতানির ওপর ৪০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেছে। ফলে দেশের বাজারে পেঁয়াজের দাম বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কার মধ্যেই অস্থির হয়ে উঠেছে নিত্যপণ্যটির দাম। ভারতের সিদ্ধান্ত শোনার সঙ্গে সঙ্গেই পেঁয়াজের দাম বাড়িয়ে দিয়েছেন বাংলাদেশের ব্যবসায়ীরা। অথচ নতুন দামের পেঁয়াজ এখনো বাজারে আসেনি। এমনকি ভারতের শুল্ক আরোপের খবরে বেড়েছে দেশীয় পেঁয়াজের দামও।


অস্থির বাংলাদেশের পেঁয়াজের বাজার,পাইকারীতেই কেজি প্রতি বেড়েছে ১২ টাকা

গতকাল সোমবার রাজধানী ঢাকার বাজারে খুচরা পর্যায়ে পেঁয়াজের দাম কেজিতে প্রায় ১৫ টাকা করে বেড়েছে। প্রতি কেজি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৭০ থেকে ৭৫ টাকায়। এই দাম আরও বাড়বে বলে জানিয়েছেন বিক্রেতারা। এদিকে বেড়েছে দেশীয় পেঁয়াজের দামও। পাবনা ও ফরিদপুরে উৎপন্ন হওয়া পেঁয়াজ ৯০ টাকা কেজি পর্যন্ত বিক্রি হতে দেখা গেছে। বাজারে পেঁয়াজের যোগানও কমে গেছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। এদিকে, পেঁয়াজের শুল্ক আরোপের বিরুপ প্রভাব পড়েছে হিলি স্থলবন্দরের পাইকারী বাজারে। প্রতি কেজি পেঁয়াজের দাম বেড়েছে ১০ থেকে ১২ টাকা পরযন্ত।

ভারতে সরবরাহ কমে যাওয়ার অযুহাতে পেঁয়াজ রফতানিতে ৪০ শতাংশ রফতানি শুল্ক আরোপ করে ভারত। গত শনিবার রাতে ভারত সরকারের ডেপুটি সেক্রেটারি অমরিতা তিতুস স্বাক্ষরিত এক নোটিফিকেশনের মাধ্যমে এই সিদ্ধান্তের কথা সেদেশের রফতানিকারকদের জানানো হয়। রোববার থেকেই এই সিদ্ধান্ত কার্যকর হবে বলে জানানো হয় ওই  নোটিশে। এমন সিদ্ধান্তের ফলে দেশের বাজারে পেঁয়াজের দাম বেড়ে যাবে বলে আশংকা করছেন হিলি বন্দরের পেঁয়াজ আমদানিকারক গ্রুপের সভাপতি হারুন উর রশিদ। তবে ভারতের হঠাৎ করে এমন সিদ্ধান্তে হতাশা প্রকাশ করেছেন পেয়াজ আমদানীকারক শাহিনুর রেজা। 

এদিকে,ভারতের শুল্ক আরোপের বিরুপ প্রভাব পড়তে শুরু করেছে দেশের পেঁয়াজের বাজারে। হিলি স্থলবন্দরের পাইকারী বাজারে পেঁয়াজের দাম কেজি প্রতি বেড়েছে ১০ থেকে ১২ টাকা। হঠাৎ করে দাম বেড়ে যাওয়ায়,দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে হিলি বন্দরে পেঁয়াজ কিনতে আসা পাইকারী ক্রেতারা পড়েছেন বিপাকে। দাম বেশি হওয়ায় চাহিদা মাফিক পেঁয়াজ কিনতে পারছেন না বলে অভিযোগ পাইকারী ক্রেতাদের। এই শুল্ক আরোপ চলবে চলতি বছরের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত।#