Search

অভিমান থেকেই বেশি আত্মহত্যা, সবার ওপরে স্কুলের মেয়েরা

তরুণদের আত্মহত্যা এবং মানসিক স্বাস্থ্য সুরক্ষা নিয়ে কাজ করছে আঁচল ফাউন্ডেশন। সংস্থাটির এক জরিপে দেখা গেছে, চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে আগস্ট পর্যন্ত আট মাসে ৩৬১ জন স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় এবং মাদ্রাসা শিক্ষার্থী আত্মহত্যা করেছেন। এর মধ্যে স্কুল শিক্ষার্থী সর্বাধিক ১৬৯ জন। জরিপ থেকে আরও জানা গেছে, ৩৬১ জন আত্মহত্যাকারীর মধ্যে নারী শিক্ষার্থী ২১৪ জন।


অভিমান থেকেই বেশি আত্মহত্যা, সবার ওপরে স্কুলের মেয়েরা

১৫৯ জন। অন্যদিকে পুরুষ শিক্ষার্থী ৮৪ জন আত্মহত্যার পথ বেছে নিয়েছে। ২০ থেকে ২৫ বছর বয়সী শিক্ষার্থীদের আত্মহত্যার হার ২১.৬ শতাংশ। ২৬ থেকে ৩০ বছরের শিক্ষার্থীদের আত্মহত্যার হার ২.৮০ শতাংশ। ১ থেকে ১২ বছরের শিক্ষার্থী ছিলো ৮.৩০ শতাংশ।

মাদ্রাসা শিক্ষার্থীদের আত্মহত্যা

 

 

৩৬১ জন শিক্ষার্থীদের মাঝে ৩০ জন মাদ্রাসার শিক্ষার্থী আত্মহনন করেছে। এদের মাঝে ৫৩.৩০ শতাংশ নারী শিক্ষার্থী ছিলো। আর পুরুষ শিক্ষার্থীদের আত্মহত্যার হার ছিলো ৪৬.৭০ শতাংশ। আত্মহত্যাকারী মাদ্রাসার শিক্ষার্থীদের মাঝে ৪০ শতাংশের পিছনে দায়ী ছিলো অভিমান। রোমান্টিক সম্পর্কের জন্য আত্মহত্যার পথ বেছে নিয়েছে ১৩.৩০ শতাংশ এবং ১০ শতাংশের আত্মহত্যার পিছনে যৌন নির্যাতন দায়ী।

 

 

আত্মহত্যার কারণ বিশ্লেষণ করতে গিয়ে আঁচল ফাউন্ডেশনের প্রেসিডেন্ট বলেন এর আগের আত্মহত্যার ডাটা গুলোতে আমরা দেখেছিলাম আত্মহত্যার পিছনে প্রেমঘটিত সম্পর্কের দায় বেশি থাকে, কিন্তু এবারে ভিন্ন তথ্য সামনে আসছে। আত্মহত্যার পিছনে মূল ভূমিকা রাখছে অভিমান। অভিমানের কারণে আত্মহত্যা পরিবারের সাথে সন্তানদের সম্পর্ক কতটুকু মজবুত তা নিয়ে চিন্তার উদ্রেক করে।

 

 

তিনি বলেন, গতবছর আত্মহত্যার পিছনে করোনা একটা বড় ধরনের ভূমিকা রেখেছিলো। এ বছর করোনা না থাকলেও আত্মহত্যার খুব একটা হেরফের হয় নাই। এটা আমাদেরকে আশঙ্কিত করে তুলে।

 

 

আত্মহত্যা থেকে ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে রক্ষা করার উপায় হিসেবে তানসেন রোজ বলেন, আমাদের প্যারেন্টিংয়ের দিকে দৃষ্টি দেওয়া জরুরি। জেনারেশন গ্যাপের কারণে সন্তান এবং বাবা মা একে অপরকে বুঝতে ব্যর্থ হন অনেক ক্ষেত্রেই। এতে ভুল বুঝাবুঝি হয়। সন্তানও মনোবেদনা শেয়ার করার জায়গা পান না। ফলে আত্মহত্যার ঘটনা ঘটে। এছাড়াও আমাদের স্বাস্থ্যকর সম্পর্ক তৈরি করার ক্ষেত্রে ব্যর্থতা রয়েছে। এ যুগের তরুণ তরুণীরা বেশিরভাগই মানসিকভাবে ভঙ্গুর প্রকৃতির। তাই যে কোনো সম্পর্কের সমস্যা হওয়া তাদেরকে প্রভাবিত করে।

 

 

জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইন্সটিটিউটের সহযোগী অধ্যাপক ড: হেলাল উদ্দিন আহমেদ শিক্ষার্থীদের আত্মহত্যা থেকে উত্তরণের পথ বাতলে বলেন, যতজন শিক্ষার্থী যে আত্মহত্যা করেছে সেটার জন্য আমাদের উচিত তাদের শারীরিক এবং মানসিক স্বাস্থ্যের উপর মনোযোগী হওয়া। তার পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের পরিবারের সদস্যদের এবং শিক্ষকদের নিজেদের মানসিক স্বাস্থ্যের উপর দায়িত্বশীল হতে হবে যেন তারা শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্যের ব্যাপারে যত্নবান হতে পারেন।

 

 

অতিরিক্ত ডিআইজি ফরিদা ইয়াসমিন আত্মহত্যার পিছনে বর্তমান প্রজন্মের একাকী থাকাকে দায়ী করেন। তিনি বলেন, এখনকার প্রজন্ম খুব একা থাকতে পছন্দ করে এবং তারা খুব একাকিত্বে ভোগে। তাদের মধ্যে একাকিত্ব থেকে শূন্যতা, শূন্যতা থেকে হতাশা, এবং পরবর্তীতে তারা নিজেদেরকে বোঝা মনে করে। তাদের মধ্যে দেখা যায় পারস্পরিক সম্মান থাকে না। তখনই তারা এ ধরনের আশ্রয় নিতে পারে। ওই একাকিত্বের সময়ে হাতের কাছে তখন সাহায্য করার মতন কেউ থাকে না, তখন যদি আমরা তাকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিতে পারি তাহলে কিন্তু তাকে ওই জায়গা থেকে বের করে আনা যায়।

 

 

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অসংক্রামক ব্যাধি নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচির প্রোগ্রাম ম্যানেজার ডা. মো. শহীদুল ইসলাম আত্মহত্যা প্রতিরোধে সরকারি উদ্যোগের কথা জানিয়ে বলেন, আত্মহত্যা এবং আত্মহত্যার প্রচেষ্টা প্রতিরোধ বিষয়টিকে বাংলাদেশ সরকারের স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নিয়ন্ত্রিত 'অসংক্রামক ব্যাধি নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচি' অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ কম্পোনেন্ট হিসাবে বিবেচনা করে। আগামী অর্থবছর থেকে বাস্তবায়নযোগ্য ৫ম এইচপিএনএসপি সেক্টর প্রোগ্রামের আওতায় সরকার এই প্রথমবারের মত একটি ডেডিকেটেড অপারেশনাল প্ল্যান 'মেন্টাল হেলথ এন্ড ডিসএ্যাবিলিটি (এমএইচডি)' অনুমোদন করতে যাচ্ছে। যেখানে আগামী ৫ বছরের মানসিক স্বাস্থ্যের অন্তর্ভুক্ত আত্মহত্যা ও এর প্রচেষ্টা প্রতিরোধে অত্যাধুনিক এবং বিজ্ঞানভিত্তিক ব্যবস্থাপনা হাতে নেয়া হচ্ছে। যার সুফল দেশবাসী অচিরেই উপভোগ করবেন।

 

 

সংবাদ সম্মেলনে আত্মহত্যা প্রতিরোধে আঁচল ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে কয়েকটি প্রস্তাবনা দেওয়া হয়। এগুলো হলো- আত্মহত্যা মোকাবেলায় বিশেষজ্ঞদের সমন্বয়ে একটি টাস্কফোর্স গঠন; মানসিক স্বাস্থ্যসেবা দ্রুত ও সহজলভ্য করতে একটি টোল ফ্রি জাতীয় হট লাইন নম্বর চালু করা; পরিবার ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থীদের আবেগীয় অনুভূতি নিয়ন্ত্রণের কৌশল ও ধৈর্যশীলতার পাঠ শেখানো; শিক্ষার্থীদের নেতিবাচক পরিস্থিতি মোকাবিলা করার কৌশল, স্ট্রেস ম্যানেজমেন্ট এবং মানসিক বুদ্ধিমত্তা সম্পর্কে শেখানো; পরিবারে, সমাজে, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থীদের সহানুভূতি এবং বোঝার সাথে সাড়া দিতে হবে; শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও পরিবার - অভিভাবকদের আত্মহত্যা সতর্কতা চিহ্ন সম্পর্কে ধারণা বিস্তৃত কর, এতে করে সম্ভাব্য আত্মহত্যাকারীকে বাঁচানো যাবে; শিক্ষার্থীদের মানসিক স্বাস্থ্য রক্ষায় ব্যক্তি, পরিবার ও সামাজিক সচেতনতা বৃদ্ধিতে যুগপৎভাবে বিভিন্ন ক্যাম্পেইন পরিচালনা করা; মানসিক স্বাস্থ্য পরিষেবাগুলি ইন্স্যুরেন্স বীমার আওতায় আনা যেন তা সকলের জন্য সাশ্রয়ী হয়; গণমাধ্যমে দায়িত্বপূর্ণ প্রতিবেদন লেখা ও প্রকাশ করা, যথাসম্ভব আত্মহত্যার বিস্তারিত বিবরণ ও ধরন বর্ণনা থেকে বিরত থাকা; বাবা মা এবং সন্তানের মাঝে মানসিক দূরত্ব কমাতে বিভিন্ন ধরণের উদ্যোগ গ্রহণ করা এবং প্রতি ৩ মাস অন্তর অন্তর সকল শিক্ষার্থীর মানসিক স্বাস্থ্য স্ক্রিনিং বাধ্যতামূলক করা।

 

অভিমানে প্রাণ গেল বেশি

 

 

আঁচল ফাউন্ডেশনের গবেষক দল আত্মহননকারী শিক্ষার্থীদের আত্মহত্যার পিছনের কারণ বিশ্লেষণ করতে গিয়ে দেখেছেন শিক্ষার্থীদের আত্মহত্যার পিছনে সবচেয়ে বেশি দায়ী অভিমান। অভিমানের কারণে আত্মহত্যার পথ বেছে নিয়েছে ৩১.৬০ শতাংশ শিক্ষার্থী। এদের মাঝে নারী শিক্ষার্থী ৫৭ জন এবং সম সংখ্যক পুরুষ শিক্ষার্থী রয়েছেন। এছাড়াও আত্মহত্যা করার পিছনে বেশ কয়েকটি কারণ খুঁজে পাওয়া গেছে। যেমন- প্রেম ঘটিত কারণ, পারিবারিক নির্যাতন, যৌন নির্যাতন, একাডেমিক চাপ, মানসিক অস্থিতিশীলতা, পারিবারিক সমস্যা এবং অন্যান্য।

 

 

প্রেমঘটিত কারণে আত্মহত্যা করেছেন ১৫.৮০ শতাংশ। পারিবারিক সমস্যার কারণে আত্মহত্যা করেছেন ৬.৯ শতাংশ শিক্ষার্থী। মানসিক অস্থিতিশীলতার কারণে ১১.৪ শতাংশ শিক্ষার্থী আত্মহত্যা করেছেন। যৌন নির্যাতনের শিকার হয়ে আত্মহত্যা করেছেন ৩.৩০ শতাংশ শিক্ষার্থী এবং ৪.৪ শতাংশ শিক্ষার্থী আত্মহত্যা করেছেন একাডেমিক চাপের কারণে। 

মাদ্রাসা শিক্ষার্থীদের আত্মহত্যা

 

 

৩৬১ জন শিক্ষার্থীদের মাঝে ৩০ জন মাদ্রাসার শিক্ষার্থী আত্মহনন করেছে। এদের মাঝে ৫৩.৩০ শতাংশ নারী শিক্ষার্থী ছিলো। আর পুরুষ শিক্ষার্থীদের আত্মহত্যার হার ছিলো ৪৬.৭০ শতাংশ। আত্মহত্যাকারী মাদ্রাসার শিক্ষার্থীদের মাঝে ৪০ শতাংশের পিছনে দায়ী ছিলো অভিমান। রোমান্টিক সম্পর্কের জন্য আত্মহত্যার পথ বেছে নিয়েছে ১৩.৩০ শতাংশ এবং ১০ শতাংশের আত্মহত্যার পিছনে যৌন নির্যাতন দায়ী।

 

 

আত্মহত্যার কারণ বিশ্লেষণ করতে গিয়ে আঁচল ফাউন্ডেশনের প্রেসিডেন্ট বলেন এর আগের আত্মহত্যার ডাটা গুলোতে আমরা দেখেছিলাম আত্মহত্যার পিছনে প্রেমঘটিত সম্পর্কের দায় বেশি থাকে, কিন্তু এবারে ভিন্ন তথ্য সামনে আসছে। আত্মহত্যার পিছনে মূল ভূমিকা রাখছে অভিমান। অভিমানের কারণে আত্মহত্যা পরিবারের সাথে সন্তানদের সম্পর্ক কতটুকু মজবুত তা নিয়ে চিন্তার উদ্রেক করে।

তিনি বলেন, গতবছর আত্মহত্যার পিছনে করোনা একটা বড় ধরনের ভূমিকা রেখেছিলো। এ বছর করোনা না থাকলেও আত্মহত্যার খুব একটা হেরফের হয় নাই। এটা আমাদেরকে আশঙ্কিত করে তুলে।

আত্মহত্যা থেকে ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে রক্ষা করার উপায় হিসেবে তানসেন রোজ বলেন, আমাদের প্যারেন্টিংয়ের দিকে দৃষ্টি দেওয়া জরুরি। জেনারেশন গ্যাপের কারণে সন্তান এবং বাবা মা একে অপরকে বুঝতে ব্যর্থ হন অনেক ক্ষেত্রেই। এতে ভুল বুঝাবুঝি হয়। সন্তানও মনোবেদনা শেয়ার করার জায়গা পান না। ফলে আত্মহত্যার ঘটনা ঘটে। এছাড়াও আমাদের স্বাস্থ্যকর সম্পর্ক তৈরি করার ক্ষেত্রে ব্যর্থতা রয়েছে। এ যুগের তরুণ তরুণীরা বেশিরভাগই মানসিকভাবে ভঙ্গুর প্রকৃতির। তাই যে কোনো সম্পর্কের সমস্যা হওয়া তাদেরকে প্রভাবিত করে।

জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইন্সটিটিউটের সহযোগী অধ্যাপক ড: হেলাল উদ্দিন আহমেদ শিক্ষার্থীদের আত্মহত্যা থেকে উত্তরণের পথ বাতলে বলেন, যতজন শিক্ষার্থী যে আত্মহত্যা করেছে সেটার জন্য আমাদের উচিত তাদের শারীরিক এবং মানসিক স্বাস্থ্যের উপর মনোযোগী হওয়া। তার পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের পরিবারের সদস্যদের এবং শিক্ষকদের নিজেদের মানসিক স্বাস্থ্যের উপর দায়িত্বশীল হতে হবে যেন তারা শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্যের ব্যাপারে যত্নবান হতে পারেন।

অতিরিক্ত ডিআইজি ফরিদা ইয়াসমিন আত্মহত্যার পিছনে বর্তমান প্রজন্মের একাকী থাকাকে দায়ী করেন। তিনি বলেন, এখনকার প্রজন্ম খুব একা থাকতে পছন্দ করে এবং তারা খুব একাকিত্বে ভোগে। তাদের মধ্যে একাকিত্ব থেকে শূন্যতা, শূন্যতা থেকে হতাশা, এবং পরবর্তীতে তারা নিজেদেরকে বোঝা মনে করে। তাদের মধ্যে দেখা যায় পারস্পরিক সম্মান থাকে না। তখনই তারা এ ধরনের আশ্রয় নিতে পারে। ওই একাকিত্বের সময়ে হাতের কাছে তখন সাহায্য করার মতন কেউ থাকে না, তখন যদি আমরা তাকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিতে পারি তাহলে কিন্তু তাকে ওই জায়গা থেকে বের করে আনা যায়।

 

 

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অসংক্রামক ব্যাধি নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচির প্রোগ্রাম ম্যানেজার ডা. মো. শহীদুল ইসলাম আত্মহত্যা প্রতিরোধে সরকারি উদ্যোগের কথা জানিয়ে বলেন, আত্মহত্যা এবং আত্মহত্যার প্রচেষ্টা প্রতিরোধ বিষয়টিকে বাংলাদেশ সরকারের স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নিয়ন্ত্রিত 'অসংক্রামক ব্যাধি নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচি' অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ কম্পোনেন্ট হিসাবে বিবেচনা করে। আগামী অর্থবছর থেকে বাস্তবায়নযোগ্য ৫ম এইচপিএনএসপি সেক্টর প্রোগ্রামের আওতায় সরকার এই প্রথমবারের মত একটি ডেডিকেটেড অপারেশনাল প্ল্যান 'মেন্টাল হেলথ এন্ড ডিসএ্যাবিলিটি (এমএইচডি)' অনুমোদন করতে যাচ্ছে। যেখানে আগামী ৫ বছরের মানসিক স্বাস্থ্যের অন্তর্ভুক্ত আত্মহত্যা ও এর প্রচেষ্টা প্রতিরোধে অত্যাধুনিক এবং বিজ্ঞানভিত্তিক ব্যবস্থাপনা হাতে নেয়া হচ্ছে। যার সুফল দেশবাসী অচিরেই উপভোগ করবেন।

 

 

সংবাদ সম্মেলনে আত্মহত্যা প্রতিরোধে আঁচল ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে কয়েকটি প্রস্তাবনা দেওয়া হয়। এগুলো হলো- আত্মহত্যা মোকাবেলায় বিশেষজ্ঞদের সমন্বয়ে একটি টাস্কফোর্স গঠন; মানসিক স্বাস্থ্যসেবা দ্রুত ও সহজলভ্য করতে একটি টোল ফ্রি জাতীয় হট লাইন নম্বর চালু করা; পরিবার ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থীদের আবেগীয় অনুভূতি নিয়ন্ত্রণের কৌশল ও ধৈর্যশীলতার পাঠ শেখানো; শিক্ষার্থীদের নেতিবাচক পরিস্থিতি মোকাবিলা করার কৌশল, স্ট্রেস ম্যানেজমেন্ট এবং মানসিক বুদ্ধিমত্তা সম্পর্কে শেখানো; পরিবারে, সমাজে, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থীদের সহানুভূতি এবং বোঝার সাথে সাড়া দিতে হবে; শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও পরিবার - অভিভাবকদের আত্মহত্যা সতর্কতা চিহ্ন সম্পর্কে ধারণা বিস্তৃত কর, এতে করে সম্ভাব্য আত্মহত্যাকারীকে বাঁচানো যাবে; শিক্ষার্থীদের মানসিক স্বাস্থ্য রক্ষায় ব্যক্তি, পরিবার ও সামাজিক সচেতনতা বৃদ্ধিতে যুগপৎভাবে বিভিন্ন ক্যাম্পেইন পরিচালনা করা; মানসিক স্বাস্থ্য পরিষেবাগুলি ইন্স্যুরেন্স বীমার আওতায় আনা যেন তা সকলের জন্য সাশ্রয়ী হয়; গণমাধ্যমে দায়িত্বপূর্ণ প্রতিবেদন লেখা ও প্রকাশ করা, যথাসম্ভব আত্মহত্যার বিস্তারিত বিবরণ ও ধরন বর্ণনা থেকে বিরত থাকা; বাবা মা এবং সন্তানের মাঝে মানসিক দূরত্ব কমাতে বিভিন্ন ধরণের উদ্যোগ গ্রহণ করা এবং প্রতি ৩ মাস অন্তর অন্তর সকল শিক্ষার্থীর মানসিক স্বাস্থ্য স্ক্রিনিং বাধ্যতামূলক করা।